নিউজ ডেস্ক,
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিপক্ষে। শিক্ষার্থীরা বাধা ডিঙিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে।শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বাধার মুখে তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পাশাপাশি তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মিঠু দাস জয়ও গুলিবিদ্ধ হন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাদের যেতে বলে। তবে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।