নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটে এবারের তিন দফা বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাটের। জেলার তিন শ কিলোমিটারের বেশি সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেড়েছে দুর্ভোগ। বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কারের কথা জানিয়েছে এলজিইডি ও সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
পানি কমে ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির। সেই সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতির চিত্র। ঢলের পানিতে সিলেটের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় তৈরি হয়েছে গর্ত, কোথাও দেখা দিয়েছে বিশাল আকারের ফাটল।
সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজারো মানুষ। জেলার সঙ্গে যোগাযোগের সড়কটি তিন দফা বন্যায় এখন চলাচলের অনুপযোগী।
স্থানীয়রা বলছে, এক ঘণ্টার রাস্তা পার হতে এখন সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। আর এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে ব্যথা থাকে। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় বা তাড়াতাড়ি কোথাও কোনো প্রয়োজনে যাতায়াত দরকার হয় তাহলে চলাচল খুব কষ্টকর হয়ে যায়।
এবারের বন্যায় সিলেটের সবগুলো উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় আড়াই শ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নাজেহাল। পানি নামার পর এসব পথে চলতে গিয়ে বিকল হচ্ছে গাড়ি, ঘটছে দুর্ঘটনা।
গাড়িচালকেরা বলছেন, এই রাস্তায় গাড়ি চললে, প্রতিদিন গাড়ি মেরামতের প্রয়োজন হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে।
সিলেটের ১৩টি উপজেলায় রাস্তাঘাটের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১০ কোটি টাকা। সিলেট এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম সহিদুল ইসলাম বলেন, পানি পুরোপুরি নামার পরপরই সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা চারটি সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করতে পেরেছি। আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সড়কের অবস্থা আরও স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।’