বিশেষ প্রতিনিধি,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলা কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মশাল মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবারের কর্মসূচি অনুযায়ী তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করেন। মশাল মিছিল চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ছাত্র সমাজের অ্যাকশন’, ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘বাধা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘বুলেট দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে আন্দোলনের শাবি সমন্বয়ক রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও রোগীদের চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিন্তু গতকাল পুলিশ হঠাৎ আমাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। তবে যত বাধাই আসুক আমাদের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
নতুন কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার সমন্বয়কদের নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে প্রতিনিধি বৈঠক রয়েছে৷ আমরা এখন জেলা-উপজেলায় আন্দোলনের জন্য প্রতিনিধি বাছাই করবো। একই সঙ্গে পূর্বে ঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
এরআগে বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) পঞ্চম দিনের মতো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পুরো এলাকাজুড়ে পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষ টিম সিআরটি অবস্থান নেয়।
এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো-সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।