Friday, November 8, 2024
Homeআন্তর্জাতিকমেসি-আলভারেজের গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

মেসি-আলভারেজের গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

 

স্পোর্টস ডেস্ক,

 

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চমকে দেওয়া আশায় ম্যাচের আগে নানা হুঙ্কার দিয়েছিল কানাডা। ম্যাচের শুরুটাও করে আক্রমণত্মক। কিন্তু জুলিয়ান আলভারেজ-লিওনেল মেসিদের সামনে ফিকে হয়ে যায় সেই আক্রমণ। উল্টো অভিজ্ঞতার তেজ দেখিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় আর্জেন্টিনা। উজ্জীবিত কানাডাকে উড়িয়ে দিয়ে চলতি কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের মেট লাইফ স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলকে ফাইনালে তোলার পথে গোল করেছেন মেসি ও আলভারেজ। চলতি টুর্নামেন্টে দুজনই প্রথমবার জালের দেখা পান আজ।

 

এবারের আসরে প্রথম ফাইনালিস্ট আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগামীকাল শুক্রবার লড়বে উরুগুয়ে ও কলাম্বিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী ১৫ জুলাই শিরোপা যুদ্ধে নামবে আর্জেন্টিনা।

 

৮০ হাজার দর্শকের সামনে আজ বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি কানাডা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ৫১ভাগ সময় বল দখলে রেখে ১১ বার আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। বিপরীতে ৪৯ ভাগ সময় বল পায়ে রাখা কানাডার আক্রমণ ৯টি।

 

ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নামা কানাডা ম্যাচের শুরুতেই পরপর দুটি সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু দুটিই হারায় কানাডিয়ানরা। শুরুর ১০ মিনিটে আর্জেন্টিনার চেয়ে বরং দাপট দেখিয়েছে কানাডাই। প্রথম আক্রমণটাও আসে কানাডার পক্ষ থেকে। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সপ্তম মিনিটে আরেকবার আক্রমণে কানাডা। এবারও আর্জেন্টিনার ডি বক্সের বামপাশ থেকে ভুল শটে সুযোগ হারায় কানাডিয়ানরা।

 

 

পাল্টা আক্রমণে ১২তম মিনিটে প্রথম সুযোগা সে আর্জেন্টিনার সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান ডি মারিয়া। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ডানপাশে গিয়ে তিনি বল বাড়ান লিওনেল মেসিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বা পায়ের জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।

 

এই হতাশা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ২২তম মিনিটেই দারুণ গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন আলভারেজ। মাঝমাঠে বল দখলে নিয়ে ডি পল খুঁজে নেন আলভারেজকে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি ম্যানসিটি তারকা। দুজনকে কাটিয়ে দারুণ শটে চলতি কোপা আমেরিকায় নিজের প্রথম গোলটি করেন আলভারেজ।

 

 

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি সহজ সুযোগ মিস করেন মেসি। প্রথমে ৪৩তম মিনিটে সতীর্থের বানিয়ে দেওয়া সুযোগে পা ছুঁইয়ে মেসি পারেননি ঠিকানায় পাঠাতে। তার নেওয়া শট গোলবারের বাম পাশ ঘেঁষে যায়। কয়েক মিনিট বাদে ডি মারিয়ার পাস থেকে আবারও ব্যর্থ শট নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে কানাডার কাছে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টাইনরা। এমি মার্টিনেজের পায়ের জাদুতে কোনোরকম রক্ষা মেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।

 

 

বিরতি থেকে ফিরে আবারও আর্জেন্টিনার গোল। ম্যাচের বয়স তখন ৫১ মিনিট। সতীর্থ এঞ্জো ফার্নান্দেজ গোলমুখে বল এগিয়ে দেন মেসিকে। আগের দুবার সুযোগ হাতছাড়া করা মেসি এবার আর হতাশ করেননি। গোলবারের কাছ থেকেই আলতো ছোঁয়ায় চলতি কোপায় নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি। যদিও শুরুতে ধরা হইয়েছিল অফসাইড। পরে ভিএআরের সাহায্য নিশ্চিত হয় মেসির গোল। লাতিন আমেরিকার আয়োজনটি এই নিয়ে ১৪টি গোল করেছেন রেকর্ডবার ব্যালন ডি’অর জেতা আর্জেন্টাইন ম্যাজিশিয়ান।

 

ম্যাচের বাকি সময় এই ব্যবধান ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। ঠিক ৮৮তম মিনিটে যদিও দারুণ সুযোগ আসে কানাডার। কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলবারের দেয়াল এমি মার্টিনেজ সেটা হতে দেননি। ঝাপিয়ে পড়ে বল লুফে নেন তিনি। রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির দল।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments