কাগজ ডেস্ক ::
সিলেটে পাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের একটি সমঝোতা বৈঠকে সাংবাদিকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটেরর অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম। বিসিএস ২১ ব্যাচের এই কর্মকর্তার এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও।
সিলেটে কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন (প্রায় ৫ দিন) ধরে সিলেট বিভাগের সকল স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন আমদানিকারকরা। এ বিষয়ে রোববার বেলা ১১টায় নগরীর মেন্দিবাগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসে ব্যবসায়ীদের সাথে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। দু পক্ষের সময়ক্ষেপণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বিকেল তিনটার পর।
বিকেলে বৈঠকের খবর পেয়ে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির রিপোর্টার নাবিল হোসাইন ও ক্যামেরা পারসন শাহীন আহমদ সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হন। সাংবাদিক দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অতিরিক্ত কমিশনর মুহাম্মদ রাশেদুল আলম।
সাংবাদিক নাবিল জানান, বৈঠকের নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আসলেও বৈঠক শুরু হয়নি। বিকেলে বৈঠক শুরুর সময়ে ক্যামেরা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম। সাংবাদিকদের কে এনেছে তা জানতে চান তিনি। দুই সাংবাদিককের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং একপর্যায়ে তিনি সভা থেকেই চলে যেতে প্রস্তুত হন। পরে অন্যান্য কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা তাকে অনুরোধ করে সভায় রাখেন। এরপর মুহাম্মদ রাশেদুল আলম উত্তেজিত হয়ে বৈঠক থেকে দুই সাংবাদিককে সভা থেকে চলে যেতে বললে তারা বের হয়ে আসেন।
ইমজার নিন্দা ও প্রতিবাদ :
একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বিস্ময়, হতাশা ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েন (ইমজা), সিলেটের নেতৃবৃন্দ। তিনিই জানেন গণমাধ্যমের কাছ থেকে কী গোপন করতে চাইছেন তিনি! টেলিভিশন মিডিয়ার সকল সাংবাদিকের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ইমজা।
এটি শুধু স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকিই নয়, বরং গুটিকয়েক সরকারি কর্মকর্তার অসততা ও দাম্ভিকতার ফলে রাষ্ট্র কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারও একটি ছোটো উদাহরণ।
ইমজা প্রত্যাশা করে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণের পাশাপাশি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটেরর অফিসের তথ্যকে আরো আইনসিদ্ধ উম্মুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষ মনোযোগি হবেন।
বিষয়টি সম্মানজনক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অত্রদপ্তরের সকল প্রকার খবর সংগ্রহ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।