স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন,
মৌসুমী ফল আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। কথায় আছে দেশি ফল, দেশি বল। আম একটি দেশি ফল। এর পুষ্টি উপাদান শরীরকে ভালো রাখে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, কপার, ফলেট, ফাইবার ও প্রোটিন। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলেন, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো। আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
– আম ভিটামিন এ, সি ও ই এর ভালো উৎস যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
– আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
– আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
– ক্লিনজার হিসেবে ত্বকের উপরিভাগে কাঁচা এবং পাকা আম ব্যবহার করা যায়। আম লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং ব্রণ দূর করে। বার্ধক্যের ছাপ রোধে আমের রস বেশ কার্যকরী। কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
– আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে। এ ছাড়া পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে।
– ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন। কেননা পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
– কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর কাঁচা আম খেলে বিকেলের তন্দ্রাভাব কাটে।
– লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া বেশ উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে।
– খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস আম। অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে আম।
– সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী।
– কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন। কাঁচা আম মধু দিয়ে খাওয়া পেটের কষাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
– কাঁচা আম মাড়ির জন্য ভালো। দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
– আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
– আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম।
– দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম।