স্পোর্টস ডেস্ক,
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেও বিশ্রামের সুযোগ নেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তবে বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারদের রেখে ভিন্ন একটি দল নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দলে নেই রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের মতো তারকারা। কেননা বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে তারা বিদায় জানিয়েছেন। ফলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ কেমন হবে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আজ (শনিবার) থেকে সিরিজ শুরুর আগে ব্যাটিং অর্ডার সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই সফরে ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, ‘আমার সঙ্গে অভিষেক শর্মা ওপেন করবে। তিন নম্বরে ব্যাট করবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়।’ গুঞ্জন রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার রায়ান পরাগ এবং ধ্রুব জুড়েলেরও অভিষেক হতে পারে এই সিরিজে।
নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে গিল জানিয়েছেন, ‘আমি আইপিএলে অধিনায়কত্ব করে অনেক কিছু শিখেছি। আমি যখন প্রথমবার অধিনায়কত্ব করি তখন আমি অনেক কিছু জিনিস শেখার চেষ্টা করেছি এবং শিখেছি। নিজের সম্বন্ধে আমি অনেক কিছু জেনেছি। খেলাটার বিষয়ে অনেক ব্যাপারে জেনেছি। আমি মনে করি অধিনায়ক হিসেবে একজন যা কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তাঁর পুরোটাই মানসিক বলা যায়।’
‘বিশ্বকাপে আমাদের যে দলটা খেলেছে এই দলটা তার থেকে একেবারেই আলাদা। এই দলে একাধিক নবীন ক্রিকেটার রয়েছে। এই সিরিজ তাদের কাছে দারুন একটা মঞ্চ ভালো পারফরম্যান্স করে নিজেদেরকে তুলে ধরার। আমিও এর মধ্যেই রয়েছি। তাই একটা কথা আমি বলতে চাই এই সিরিজে আমরা প্রত্যেককে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের একটা সুযোগ করে দেব। আশা করি বিষয়টি প্রত্যেকে উপভোগ করবে’, আরও যোগ করেন গিল।
এ তো গেল এই সিরিজের হিসাব। এর বাইরে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে থাকবেন সূর্যকুমার যাদব, রিষাভ পান্ত, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো তারকারা। এ ছাড়া এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকা যশস্বী জয়সওয়াল ও শিভাম দুবেরা এই সিরিজেই যোগ দেবেন। সবমিলিয়ে টপ অর্ডারের জায়গা দখলের মতো যথেষ্ট প্রার্থী আছে ভারত দলে। বোলিং বিভাগ পাবে জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেলের মতো বিশ্বকাপ জেতানো তারকাদের। তারা দলে ফিরলে একাদশ গঠন করতে মধুর সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত পাঁচটি ম্যাচ খেলবে। সবকটি ম্যাচই হবে হারারেতে। পরবর্তীতে ভারতের সঙ্গে খেলতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশটিতে সফর করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।