Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
দোয়ারাবাজারে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ব্লকের রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Sunday, April 20, 2025
Homeসিলেট বিভাগসুনামগঞ্জদোয়ারাবাজারে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ব্লকের রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি

দোয়ারাবাজারে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ব্লকের রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি

 

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের দলের গাঁও চৌরাস্তা মুতির পয়েন্ট হতে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ব্লকের রাস্তাটি খানাখন্দে বেহাল দশা। এ যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জন সাধরণের দুর্ভোগের সীমা নেই।

এদিকে রাস্তাটির বেহাল হওয়ায় প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, দলের গাঁও চৌরাস্তা মুতির পয়েন্ট হতে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ব্লকের রাস্তাটির জায়গায় জায়গায় ভাঙা ও ধ্বষে গেছে। জরাজীর্ণ এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিশু, বৃদ্ধ, প্রসূতি নারী, অসুস্থ রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি হয়, প্রায় সময় ছোট-বড় ধরনের দূর্ঘটনা ও ঘটে চলছে উন্নয়নবঞ্চিত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে। রাস্তার দুইপাশে রয়েছে মৎস্য চাষের পুকুর,মাটি ভরাট না করায় রাস্তা ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে।

লামাসানিয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে জানান, ভাঙা ও ধ্বষে যাওয়া রাস্তায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে চালিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের দলেরগাঁও চৌরাস্তা মুতির পয়েন্ট হতে নরসিংপুর ইউনিয়নের লাস্তবেরগাঁও গ্রামের পাকা রাস্তায় সংযুক্ত হয়েছে এ রাস্তা। এই রাস্তাদিয়ে শুধু দোয়ারা সদর ও নরসিংপুর ইউনিয়নের মানুষের চলাচলেই শেষ নয়,পাশবর্তী ছাতক উপজেলা মানিকপুর,চৌমুহনী,গোদাবাড়ী ও মানুষও চলাচল করে থাকে। জনসাধারণের চলাচলে এই রাস্তাটিই ভরসা।

এছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে যেতে পারি না। এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল মাদ্রাসার যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি এখন পিচ করনের সময় দাবি হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসি দ্রুত সংস্কার দেখতে চায়। এই দুই কিলোমিটার ব্লকের রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয়। গত ১৫বছর আগে এ দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ব্লক বসানো হয়। তার পর আর রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করা হয়নি।

নামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মারজানা বেগম জানান, ব্লকের এই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় আসতে ভয় হয়। গত কয়দিন আগে মারজানা ও তার ৪ জন সহপাঠি মাদ্রাসায় আসার সময় একটি অটো রিকশা উল্টোদিক থেকে আসে। তখন তাদেরকে রাস্তা পার হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে গিয়ে অটোরিকশাটি পুকুরে পরে যায়, এতে চালক মারাত্মক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদ জানান,দলের গাঁও চৌরাস্তা হতে লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা চলাচলের ২ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চলাচলতো পরের কথা শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে প্রতিষ্ঠানে আসতে কষ্ট হয়।অনেক শিক্ষার্থী আবার বড় ধরনের দূর্ঘটনার ও শ্বিকার হয়েছে মাদ্রাসায় আসতে গিয়ে। বিগত প্রলোয়ন কারী বন্যায় রাস্তার ব্লক ও মাটি ভেঙে নিয়ে শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে রাস্তাটি সংস্কার করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ জানান, আমি এই রাস্তার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এলজিএইডির কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছি এখনো কোন সুরাহা পাচ্ছিনা। রাস্তাটি যাতে দ্রুত মেরামত হয় বিষয়টি নিয়ে আবারও এমপি মহোদয়কে অবহিত করব।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো:মনছুরুল হক জানান, ব্লকের রাস্তার সংস্কারের জন্য হিলিপ প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি এখনো ফিডব্যাক পাইনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments