বিশেষ প্রতিনিধি,
নবীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দিতে তৈলবাহী গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঢ- ৪৪০-৪৬০) ও সিএনজি অটোরিকশার (হবিগঞ্জ থ-১১-৪১৫৮) মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ ফজল মিয়া (২২) নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তি আউশকান্দি ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত রহমত মিয়ার পুত্র। উক্ত দূর্ঘটনায় চাকলের মাথা তেতলে যায়, এবং দুটি হাতও ভেঙ্গে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সিএনজি থেকে মহা সড়কে পড়ে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।
এঘটনার পরপরই তৈলবাহী গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার সময় সৈয়দপুর বাজারে গাড়িটিকে আটক করা হয়। পরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ গাড়িটি থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল অনুমান ৫টার দিকে সৈয়দপুর বাজার থেকে দুইজন যাত্রী নিয়ে আউশকান্দি আসার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি তৈলবাহী গাড়ির সাথে সরাসরি সিএনজির অটোরিকশার সাথে সংঘর্ষ হয়।
এতে, সিএনজিতে থাকা নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের বদরুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী (৩৫) গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এ দূর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন দু’পাশের কয়েক হাজার দূর পাল্লার গাড়ি স্থানীয় গাড়িগুলো আটক করে মহা সড়ক প্রায় ঘন্টা খানেক বন্ধ করে রাখেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি পরিমল চন্দ্র দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসেন। এবং সৈয়দপুর বাজার থেকে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এবং দু’পাশের হাজারো আটককৃত যানবাহন চলা করতে স্বাভাবিক করে দেন। এবং নিহতের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে থানার ওসি পরিমল।
পরবর্তীতে নবীগঞ্জ থানার এসআই গৌতুম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন। যানবাহন স্বাভাবিক করেন। তবে, স্থানীয়দের দাবী এই দূর্ঘটনা কবলিত স্থানে স্পীড ব্যকার না দিলে এখানে দূর্ঘটনায় আরো প্রাণ যেতে পারে বলে আশংখা করছেন স্থানীয়রা। তারা আরো বলেন, আপনারা গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে যেন আমাদের এখানে স্পীড ব্যকার অনতিবিলম্বে করার জন্য আকুল আবেদন করেন।