স্পোর্টস ডেস্ক,
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অনেকটাই কাছাকাছি গিয়েছিল আফগানিস্তান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও জয়ের সুবাস পেয়েছিল আফগানরা। কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেই অতিমানবীয় ইনিংসে হতাশ হতে হয় আফগানিস্তানকে। মাস সাতেক পর অবশেষে সেই আক্ষেপ মোচনের সুযোগ পেয়েছে রশিদ খানরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানের ব্যবধানে পরাজিত করেছে আফগানিস্তান।
এমন এক জয়ের পর রশিদ খানের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতোই। শুরুতেই টেনে এনেছেন অতীত হারের স্মৃতিগুলোকে, ‘এটা দল ও দেশের জন্য অনেক বড় একটি জয়। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অনুভূতি দারুণ। এটা এমন কিছু, যা আমরা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে করতে পারিনি, এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ বিশ্বকাপেও করতে পারিনি।’
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এখন আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে। রশিদও মুখিয়ে আছেন সেই সুযোগ নিতে, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সমর্থকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়। আফগানরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, তারা এমন একটি জয়ের অপেক্ষায় ছিল। খুবই মিস করছিল। তবে এটা আমাদের জন্য মাত্র শুরু। সেমিফাইনালে খেলার সব সুযোগ আমাদের আছে।’
‘আমরা ভেবেছি, ১৪০ রান এখানে ভালো সংগ্রহ। ব্যাট হাতে আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। কিন্তু এ ধরনের উইকেটে আপনি সব সময় সংগ্রাম করবেন। শেষ দিকে আমরাও সংগ্রাম করেছি। তবে শুরুটা ভালোভাবে হওয়ায় আমরা এ সংগ্রহটা পেয়েছি। আমরা জানতাম, যদি শান্ত থাকি, তবে এই রান নিয়ে জিততে পারব।’- যোগ করেন রশিদ।
অবশ্য জয়ের জন্য নিজেদের ফিল্ডিং বিভাগকে আলাদা করে কৃতিত্ব দিলেন রশিদ। ম্যাচ জয়ের অর্ধেক কৃতিত্বই রশিদ দিচ্ছেন ফিল্ডিং বিভাগকে, ‘ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতোই ফিল্ডিং বড় ভূমিকা রাখে। আমার মতে, ব্যাটিং বোলিং ২৫-২৫, ফিল্ডিংয়ের অবদানই থাকে ৫০ শতাংশ। এখানে ভুল করলে আপনাকে ম্যাচ হারতে হবে।’
সবশেষে রশিদ জানালেন ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আজও এক নির্ঘুম রাত কাটাবেন তিনি, ‘ঐ রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। বারবার খেলার কথা মনে পড়ছিল। আমরা ৯০ শতাংশ এগিয়ে ছিলাম, ম্যাক্সি আমাদের জয় কেড়ে নেয়, পুরো রাতে এক ফোঁটা ঘুমাইনি।