নিজস্ব প্রতিবেদক,
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর রোববার (২৩ জুন) শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
এর আগে, বন্যার কারণে গত ১৮ জুন থেকে সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, শ্রীপুর, জাফলং পান্থুমাই, মায়াবী ঝরনাসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসন জানায়, জাফলং পর্যটন স্পটে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদেরকে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনায় সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।
জানা গেছে, এখনো গোয়াইঘাটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথরের যেসব জায়গায় পর্যটকরা বিচরণ করতেন সেসব জায়গার অনেকাংশ এখনো পানির নিচে। ফলে ভরা বর্ষা মৌসুমে শিশুদের নিয়ে আসার জন্য পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন।
গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল কয়েক দফা পরিদর্শন করেছে। জাফলং পর্যটন স্পটে নৌ-চলাচলের রুটে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় সব বোট মালিক, নৌ চালক-মাঝিদের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। জাফলংয়ে পিয়াইন নদীর পানির গভীরতা ও স্রোত বিবেচনাহ সাঁতার জানে না এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের নিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট স্পটে নৌকায় চলাচল করা যাবে না। ট্যুরিস্ট পুলিশকে পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিধানের জন্য বলা হয়েছে।
উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে সবকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত পর্যটকরা সিলেট ঘুরতে আসলেই ভ্রমণের তালিকায় শীর্ষে রাখেন জাফলং, লালাখাল, সাদা পাথর, বিছানাকান্দি ও রাতারগুল। এই জায়গাগুলোর অবস্থান কোম্পানিগঞ্জ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলাতে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, রোববার শর্তসাপেক্ষে গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলো হয়েছে। বাকিগুলো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।