লাইফস্টাইল ডেস্ক,
বাঁশ। বাংলাদেশে এই শব্দটাই বেশ সংবেদনশীল এবং নেতিবাচক উপমায় ব্যবহার হয়। তবে আপনি কি জানেন এই বাঁশ পরিবেশ রক্ষায় কতোটা ভূমিকা রাখছে? এর অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য উপকারিতা কতোটা? এমনকি পুষ্টিবিদদের মতে রান্না করা বাঁশে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই, আয়রন পাওয়া যায় যা শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
জানা যায়, এক কাপ রান্না করা বাঁশের মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার, ৫ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫৩৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই, ৩১ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
উচ্চ ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে বাঁশ কার্যকর। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খিদে লাগে না। ফুড ইন্টেক কম হয়। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বাঁশকে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এতে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
হজম ভালো রাখতে বাঁশ খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, এমন লোকেদের বাঁশ খাওয়া উচিত।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বাঁশের ভালো প্রভাব দেখা যায়।
কীভাবে বাঁশ খেতে হবে,
বাঁশ সম্পর্কে একটি বড় প্রশ্ন মনে আসে যে এটি কীভাবে খেতে হয়, বা কীভাবে এটি রান্না করা হয়।
সবুজ বাঁশ ধুয়ে সিদ্ধ করা হয়। সিদ্ধ করার পর বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
আপনি রান্না করা বেম্বো শ্যুটস মাখন এবং সয়া সসের সঙ্গে মিশিয়ে সবজির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। এতে আপনার খাবারের স্বাদ বাড়বে।
এর পাশাপাশি আচার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বাঁশ। সহজেই এর আচার করতে পারবেন।
তাজা বাঁশের কোঁড়ল প্রায় ২ সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
তবে খেয়াল রাখবেন, আপনি কখনোই বাঁশ কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ, এতে পেটের সমস্যা হতে পারে।