সাজ্জাদ মাহমুদ মনির, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মাত্র এক রাতের ব্যবধানে ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো সুনামগঞ্জের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সুরমা, চেলা ও পিয়ান নদীর পানি। বর্তমানে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে।
ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সহ এর আশপাশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। ধনীটিলা-ছনবাড়ী বাজার সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে এ সড়কের বিভিন্ন অংশ।
ইউনিয়নের নিজগাঁও রতনপুর,ছনবাড়ী, নোয়াকোট, রহমতপুর,বনগাঁও,দারোগাখালী, বৈশাকান্দি,সৈদাবাদ, বাহাদুরপুর সহ ১০-১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার সাথে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়েগেছে। এই উপজেলার ৮০% রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে পানির নিচে রয়েছে।
দোয়ারাবাজারে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বক্তারপুর, চৌকিরঘাট, ইদ্রিসপুর, ঝিরারগাও, লক্ষ্মীপুর, নোয়াপাড়া, রসরাই, সুলতানপুর, এরুয়াখাই, মাঠগাও ও রণভুমিসহ ২৪টি গ্রাম। গত তিনদিন ধরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরাচেলা, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি ও ধূমখালিসহ অনেক নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ২৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
রোববার পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ছাতক উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কিরন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না সহ প্রশাসনের লোকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী পানি বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টেমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ, ছাতক-জাউয়া, ছাতক- দোয়ারা ও ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়ক সহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ছাতক পৌর সভার নিম্নাঞ্চলে ও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন তিনি । আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়েছে।