নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটের অদূরে ভারতের মেঘের রাজ্য বলে খ্যাত চেরাপুঞ্জিতে ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) সকালে ভারতের আবহওয়া বিভাগ জানায়, গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫১৩ মিলিমিটার।
সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমান ৬২ মিমি। এবং আজ সকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৫ মিলিমিটার।
তিনি বলেন, সকাল পরবর্তী সময়ে সিলেট অঞ্চলে ভারি থেকৈ ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে আগামী তিনদিনের পূর্ভাবাসে সিলেটসহ ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
দিনভর বৃষ্টিপাতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে খেটে খাওয়া মানুষদের। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাটগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। ভারি বর্ষণে ফের জলমগ্ন হতে পারে সিলেট মহানগর।
এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুই পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের আজ সকাল ৯টার তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে বাড়ছে নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানির চাপ। ভারি থেকে ভারি বর্ষণের ফলে নদ-নদীর অন্যান্য পয়েন্টগুলোও শিগগিরই বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে সিলেট নগরের মধ্যে প্রবাহিত হওয়া সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওযার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ১১ দিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতে চারবার ডুবেছে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ শতাধিক এলাকা। কয়েকটি এলাকায় দিনের দিনের পর দিন জলাবদ্ধতা লেগেই থাকাতে বেশকিছু মানুষ ঘরবন্দি ছিলেন। পরে পানি নেমে যাওযাতে স্বস্থি ফিরলেও শঙ্কা কাটছে না।