স্পোর্টস ডেস্ক,
গত ম্যাচে পুরোটা সময় খেলেননি। তাতেই লিওনেল মেসির ফিটনেস নিয়ে কথা হয়েছিল ইকুয়েডরের বিপক্ষে ডেডলক ভাঙতে পারেননি দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় খেলেও। কিন্তু কোপা আমেরিকার ঠিক আগে ঠিকই নিজের চেনা ছন্দে ফিরে এলেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা। জোড়া গোলের সঙ্গে করেছেন অ্যাসিস্টও।
প্রতিপক্ষ অনেকটা পিছিয়ে থাকা দল গুয়াতেমালা। তাতে কি। একাদশে ফেরার দিনে মেসি কেমন করেন, সেটাই ছিল প্রশ্ন। গনজালো মন্তিয়েল , নাহুয়েল মলিনা আর এনজো ফার্নান্দেজের মত তারকাদের ফেরার মঞ্চ ছিল এই ম্যাচটিই। এমনকি জাতীয় দলে গোলখরায় থাকা লাউতারো মার্টিনেজের জন্যও এই ম্যাচও ছিল বিশেষ কিছু। মেসি মার্টিনেজের জোড়া গোলের সুবাদে আর্জেন্টিনা জয় পায় ৫-১ গোলে।
মেসির প্রথম একাদশে ফেরার ম্যাচে শুরু থেকেই পজেশন ধরে রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে আর্জেন্টিনা। গুয়াতেমালা আঁচ করেছিল এমন কিছু। শুরু থেকেই তাই তাদের মনোযোগ ছিল রক্ষণের দিকে। চকিত কাউন্টার অ্যাটাকে চমকে দেবে আর্জেন্টিনাকে। এটাই ছিল লক্ষ্য। তাতে ফল চলে আসে ম্যাচের ৪ মিনিটে।
গুয়াতেমালার প্রথম চেষ্টা এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ান লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। তবে গুয়াতেমালার জমাট রক্ষণ আর্জেন্টিনাকে তেমন কোনো সুবিধা করতে দেয়নি। পাশাপাশি প্রতি-আক্রমণও কিছুটা ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিল।
১২ মিনিটের গোলটায় অবশ্য গুয়াতেমালা নিজেদেরই দায় দিবে। রক্ষণের ভুলে বক্সের ভেতর মেসির পায়ে বল তুলে দেন দলটির গোলরক্ষক। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান তিনি।
কাউন্টার অ্যাটাকে পিছিয়ে ছিল না যদিও শেষ পর্যন্ত পাওয়া হয়নি গোল। ৩৫ মিনিটের পর নিজেদের সেরা ছন্দ খুঁজে পায় আর্জেন্টিনা। বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখে গুয়াতেমালাকে ক্রমাগত কোণঠাসা করে দেয় লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফলও আসে ৩৯ মিনিটে।
বক্সের ভেতর ভ্যালেন্টিন কার্বোনি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। তবে পেনাল্টি শটটি নিজে না নিয়ে লাওতারো মার্তিনেজকে সুযোগ করে দেন মেসি। লক্ষ্যভেদ করে আর্জেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ালেও গোলের দেখা পেতে খানিকটা অপেক্ষাই করতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। শেষ পর্যন্ত মেসি আর মার্টিনেজের সুবাদে আরেক গোল পায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মেসির কাছ থেকে পাওয়া বলে সহজ ফিনিশ করেন মার্টিনেজ।
৭৭ মিনিটে দেখা গেল মেসি এবং ডি মারিয়ার যুগলবন্দী। দারুণ এক ওয়ান টু ওয়ানে আনহেল দি মারিয়ার কাছ থেকে বল পান মেসি। চিরচেনা চিপে শটে বল জালে জড়ান এলএমটেন। ৪-১ গোলের জয়ও নিশ্চিত হয় সেই সুবাদে।