Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
গরু কোরবানিতে সাত নাম থাকা কি জরুরি? - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Sunday, April 20, 2025
Homeইসলামগরু কোরবানিতে সাত নাম থাকা কি জরুরি?

গরু কোরবানিতে সাত নাম থাকা কি জরুরি?

ইসলামী জীবন বিধান,

 

ছয় ধরনের গবাদি পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিন খাওয়া হালাল হলেও হরিন দিয়ে কোরবানি করা যায় না।

 

ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে।

 

 

একটি গরু কোরবানিতে সাত শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি নয়। এক গরু এক নামেও কোরবানি করা যায়। দুই, তিন, চার বা পাঁচ নামেও কোরবানি করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে যে কয়জন শরিক থাকবে, সবাই ওই পশু কেনায় সমান অর্থ দেবে এবং গোশতও সমানভাবে ভাগ করে নেবে।

 

অনেকে মনে করেন, একটি গরু কোরবানিতে সাত জন শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি। এ ধারণা সঠিক নয়। সর্বোচ্চ সাত জন পর্যন্ত শরিক থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে, সাত নাম বা সাত শরিক রাখা আবশ্যক করা হয়নি।

 

 

যাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরআনে আল্লাহ তাআলা নামাজের সাথে যুক্ত করে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,

 

اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰکَ الۡکَوۡثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ اِنَّ شَانِئَکَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ

নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ। (সুরা কাওসার: ১-৩)

 

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

 

مَن كان له سَعَة ولمْ يُضَحِّ فلا يَقْرَبَنّ مُصَلّانا

যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)

 

মুসলমান নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যারাই জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্যের সম্পদের মালিক থাকে, তাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments