ক্রীড়া প্রতিবেদক,
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তাতে সমালোচনার মুখে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে বিশ্বকাপে এসে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছিল তারা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারে টাইগাররা। তবে গতকাল নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আবারও জয়ে ফিরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সবমিলিয়ে ৩ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো টাইগাররা।
গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ রানের জয়ের পর দলকে নিয়ে লম্বা এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফিরে গেছেন নিজের টেস্ট অধিনায়কত্বের সময়কালে। একইসঙ্গে টাইগারদের জানিয়েছেন শুভকামন।
ফেসবুকে মাশরাফি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন হয়ে সেন্ট কিটসের এই মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলাম। প্রথম ইনিংসে সম্ভবত ৩৮ বা ৪০ রান করেছিলাম। প্রথম ইনিংসে ৬ ওভার বল করে ইনজুরিতে পড়ি এবং পরে আর বল করা হয়নি। যদিও টেস্ট ম্যাচ আমরা জিতি এবং রিয়াদ সেকেন্ড ইনিংসে ৬ উইকেট পায়। এটাই আমার শেষ টেস্ট ম্যাচ ছিলো এবং আমি এরপর অপারেশন করে আবার প্রায় আট মাস পর দলে ফিরি।’
সাকিবেই আস্থা খুঁজে দল দাবি মাশরাফির, ‘সেটা ছিলো ২০০৮ সাল এবং সেই ম্যাচে সাকিব পরে ক্যাপ্টেন হিসাবে দলের দায়িত্ব নেয়। আজ সাকিব আবার পুরো দলের দায়িত্ব নিয়ে দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে। যার কারনে একটা বড় রান করা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে রিয়াদ এবং জাকের আলীর কথা বলতেই হবে। তারা দুজনও সিচুয়েশন অনুযায়ী যা দরকার ছিল সেটাই করেছে।’
বোলিং ইউনিট নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘বোলিংয়ে পুরো দল হিসাবে আবারও দারুণ পারফরম্যান্স। দিন দিন রিশাদ স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠছে। মুস্তাফিস ও তানজিম সাকিব অসাধারণ। তাসকিনের কথা আসলেই আলাদা করে বলা উচিৎ, বিগত দুই বছরে এই ফরম্যাটে বুমরাহর পর সম্ভবত সে বিশ্বের সেরাদের কাতারে। এই বিশ্বকাপ সত্যিই আমাদের জন্য বিশাল সুযোগ। এতো স্লো উইকেটে খেলা যেটা, আমরা সবসময় আশা করি।’
সাকিবকে টুপিখোলা অভিবাদন জানিয়ে মাশরাফি লেখেন, ‘এবার শুরু হবে আমাদের আসল বিশ্বকাপ। এই উইকেটে কেউ সেরা দল নয়, আমরা বিশ্বাস রাখতে পারলে দারুণ কিছু করা সম্ভব। সাকিবকে টুপি খোলা সালাম, সেই সাথে পুরো দলকে অভিনন্দন।’