ইসলামী জীবন,
কোরআনে আল্লাহ কোরবানি করতে বলেছেন ‘বাহিমাতুল আনআম’ বা হিংস্র নয় এমন গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। আল্লাহ বলেন,
وَ لِكُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَكًا لِّیَذۡكُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمۡ مِّنۡۢ بَهِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ فَاِلٰـهُكُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسۡلِمُوۡا وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ
আমি প্রত্যেক জাতির জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি। রিজিক হিসেবে তাদের যেসব ‘বাহিমাতুল আনআম’ দিয়েছি সেগুলোর ওপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। (সুরা হজ: ৩৪)
তাই খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। হরিণ, বন্য ছাগল, নীলগাই ইত্যাদি খাওয়া হালাল হলেও এগুলো দিয়ে কোরবানি করা যায় না। কোরবানি করতে হবে ছয় ধরনের গবাদি পশু দিয়ে। সেগুলো হলো, উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা।
পাঁঠা বা প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন পুরুষ ছাগল কোরবানি করা যায়। এটাও ‘বাহিমাতুল আনআম’ বা অহিংস্র গৃহপালিত পশুসমূহের অন্তর্ভুক্ত। খাসি অর্থাৎ জন্মের পর অণ্ডকোষ অপসারণ করা হয়েছে এমন পুরুষ ছাগলও কোরবানি করা যায়। হাদিসে এসেছে, নবিজি (সা.) খাসি কোরবানি করেছিলেন। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সা.) নিকট দুটি মোটা তাজা সাদা কালো শিংওয়ালা খাসি আনা হলে তিনি দুটির একটি কোরবানি করলেন। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২২)
উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে।
পাঁঠা, খাসি, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।