ঝলক দত্ত, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০ টায় শহরতলীর মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকায় ২৫টি টিন ও পাকা ঘরের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাওন মজুমদার সুমন ও সিলেট জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি, সি লিমিটেড এর উপ-মহাব্যস্থাপক ভিজিল্যান্স প্রকৌশলী মো.আমিরুল ইসলাম।
দিনব্যাপী এ অভিযানে ওই এলাকায় গ্যাস পাইপের ওপর ও পাইপের উভয় দিকে ১০ ফুট কম দূরত্বে নির্মিত ২৫টি পাকা ও টিনের ঘর এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। যদিও গ্যাস কোম্পানী ও উপজেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে বিগত ২০২১ সাল হইতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বার বার নোটিশ দিয়ে তাগাদা দেয়া হয়, নিজ থেকে গ্যাস পাইপের ওপর স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে। কিন্ত কেউ নোটিশে কর্ণপাত না করায় চূড়ান্তভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে গ্যাস কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানা যায়।
সিলেট জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি, সি লিমিটেড এর উপ-মহাব্যস্থাপক ভিজিল্যান্স প্রকৌশলী মো.আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,২০২০ সালে ঢাকায় মসজিদের নিচে গ্যাস পাইপ থেকে বিস্ফোরণ হলে বহু মানুষ হতাহত হয়। এরপর থেকে আমরা গুরুত্বের সাথে সিলেট অঞ্চলে গ্যাস পাইপের ওপর নির্মিত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে আসছি। শ্রীমঙ্গল মুসলিমবাগ এলাকায় জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি, সি লিমিটেড এর উচ্চ চাপ ৫০০ পিসিআই গ্যাস পাইপ লাইনের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বলে তিনি জানান।
ওই এলাকার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী ইসরাইল মিয়া জানান, তিনি অন্য একজনের নিকট থেকে টিনশেটের ঘরটি ক্রয় করেছিলেন,নোটিশে অবহেলা করায় এমন পরিণতি ভোগ করেছেন বলে তিনি জানা।,আরেক পাকা স্থাপনা নির্মাণকারী এরশাদ মিয়া জানান,নোটিশে গুরুত্ব না দেয়ায় বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি, সি লিমিটেড এর ডিজিএম আব্দুল মুকিত,ম্যানেজার সানোয়ার,ব্যবস্থাপক মুনায়েম সরকার,আইন ব্যবস্থাপক সাদিকুন নূর চৌধুরী,এসিস্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন।