ইসলামী জীবন,
ইসলামি শরিয়তে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আরবি হিজরি সনের ১২তম মাস জিলহজের ১০ তারিখ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কারো কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কোরবানির নেসাবের পরিমাণ,
স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।
সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব।
কত টাকা থাকলে এ বছর কোরবানি ওয়াজিব হবে- তা জানতে হলে আগে রুপার মূল্য জেনে নিন
শনিবার (১ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫২ তোলা ২২ ক্যারেট রুপার দাম হলো ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ টাকা। সাড়ে ৫২ তোলা ২১ ক্যারেট রুপার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ২৯০ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট রুপা সাড়ে বায়ান্ন তোলার দাম পড়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপা সাড়ে ৫২ ভরির দাম ৬৭ হাজার ৩৩৭ টাকা।
অতএব, কোরবানির দিনগুলোতে কারো কাছে ন্যূনতম হিসাবে যদি সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা বা এর সমমূল্যের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে, তাকে কোরবানি দিতে হবে। তবে কোরবানি যেহেতু ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সময়ের মধ্যে ওয়াজিব হয়, সে সময়ের দাম হিসাব করতে হবে। কারণ ততদিনে রুপার দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কোরবানি ওয়াজিব হয় ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার যে দাম থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৬,আলমুহীতুল বুরহানি: ৮/৪৫৫)
ইয়া আল্লাহ! সব মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নিয়মে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।