দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে বন্যার কারণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে বোর্ড তিনটি বাদেই এবারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো- পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই হলে প্রবেশ করতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষার পরিবেশ ও প্রস্তুতি দেখতে বের হবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। মোট ৯ হাজার ১৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৫১ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৩ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার্থী ৯৮ হাজার ৩১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ হাজার ৬৩ এবং ছাত্রী ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ১৪৪ জন। ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। চলতি বছর সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এবারও বিদেশে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন, সাহাম, ওমানসহ মোট ৮টি কেন্দ্রে ৩২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এদিকে পরীক্ষা সামনে রেখে ১৪ আগস্ট থেকে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৩ দিন এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ ও নিজ আসনে বসতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পরে প্রবেশ করলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশে বিলম্বের কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে রাখা হবে। পাশাপাশি দৈনিক এ ধরনের শিক্ষার্থীর তালিকা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে।
আরও জানা যায়, ট্রেজারি থেকে ছাপানো সব কটি প্রশ্নের সেটই কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশের ৫ মিনিট পর বা পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের জন্য শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট পরীক্ষা দিতে পারবে।