Sunday, November 24, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলক্যাফেইনের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে করণীয়

ক্যাফেইনের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে করণীয়

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক,

দিনে কাজের ফাঁকে বেশ কয়েক চা-কফি পান করা হয়ে যায়। অফিস বাদে অফিসের বাইরেও অনেকে চা-কফি পান করেন। বাড়িতে বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলেও পান করা হয় চা-কফি। অতিরিক্ত চা-কফি খেলে শরীরে বিপুল পরিমাণে ক্যাফেইন প্রবেশ করে। এই ক্যাফেইন কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত ক্যাফেইন রক্তচাপের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় বমিভাব হয়। ভীষণ দুর্বল বোধ করেন চা-কফি পানকারী। এদিকে চা-কফির নেশা ছাড়াও বেশ কঠিন কাজ। ক্যাফেইনের এই ক্ষতিকর নেশা এড়াতে খুব সহজ কয়েকটি উপায় রয়েছে।

 

 

অতিরিক্ত ক্যাফেইনে শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে—

 

প্রচণ্ড অস্থির লাগতে পারে।

উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন।

প্রচণ্ড উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

মেজাজ বারবার হারিয়ে ফেলতে পারেন।

হাত-পা কাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।

ঘুমের অভাব হয়।

শরীরের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় ক্যাফেইন।

বারবার প্রস্রাবে যেতে হতে পারে।

শরীর থেকে পানি কমে যেতে পারে।

মাথা ঘুরতে পারে।

ক্লান্ত লাগতে পারে।

হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।

প্রথমে ভীষণ চাঙ্গা লাগলেও পরে ক্লান্তিভাব বেড়ে যায়। যে কারণে বারবার চা-কফি টানে

মস্তিষ্কের ওপরেও প্রভাব ফেলে ক্যাফেইন।

মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ক্যাফেইন। সাধারণত চা-কফি পান করা হয় মস্তিষ্কের কোশগুলোকে চাঙ্গা করতে। ক্যাফেইন কোশগুলোকে উত্তেজিত করে দেয়। এর ফলে কিছুক্ষণ পর ঘুম ঘুম ভাব ও ক্লান্তিভাব পেয়ে বসে। কাজ করার সময় হিসেব গুলিয়ে যায় অনেকের। বা মাথায় অন্য কথা চলে। এটি ক্যাফেইনের জেরে হতে পারে। মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরার সমস্যাও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে।

 

কী করলে কমবে ক্যাফেইনের প্রভাব, জেনে নিন—

 

প্রচুর পানি পান: যখনই মনে হবে আপনার শরীর দুর্বল লাগছে, সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করুন পর্যাপ্ত। এতে শরীর থেকে ক্যাফেইন বের হয়ে যাবে।

 

হালকা ব্যায়াম: ক্যাফেইনের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে হাঁটা, জগিং করা বা সেরকম হালকা ব্যায়াম করা শুরু করুন। এতে শরীর ক্যাফেইনকে দ্রুত হজম করে নেবে।

 

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: যখন আপনি বেশি পরিমাণে কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন গ্রহণ করেন, তখন শরীরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ও কাঁপতে থাকে। এ অবস্থা মোকাবেলা করার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো কলা ও ডাবের পানি খাওয়া। কারণ কলা ও ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম ঐ সমস্যা দূর করবে দ্রুত।

 

কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার: রুটি ও ভাতের মতো খাবার খেতে পারেন। এতে শরীরে শক্তি ফিরে আসবে।

 

ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন: যখন আপনি খুব বেশি খারাপ বোধ করছেন বলে মনে হয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, নিস্তেজ হয়ে গেলে, বমি হলে ও হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত আপনার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments