ক্রীড়া প্রতিবেদক,
বিশ্বকাপ ও এমিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল। ম্যাচটিতে ১৬০ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিতে পারেনি সকারুজরা। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৭-০ গোলে হারলেও ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। অস্ট্রেলিয়া কোচ গ্রাহাম আরনল্ডের কথায়, তারা জানতেন যে ম্যাচটা সহজ হবে না।
বাছাইয়ের প্রথম লেগে মেলবোর্নে সঙ্গী হয়েছিল বড় হারের বিষাদ। ফিরতি লেগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এবার অবশ্য কমেছে হারের ব্যবধান। সকারুজদের কাছে বাংলাদেশের হার ২-০ গোলে। এর মধ্যে সফরকারীরা প্রথম গোল পেয়েছে আত্মঘাতী থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান কুসিনি ইয়েংগি।
এর আগে ২০১৫ সালে পার্থে ৫-০, ফিরতি লেগে ঢাকায় ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর গত বছর নভেম্বরে মেলবোর্নে হেরেছিল ৭-০ গোলে। প্রথম লেগে গোল উৎসব করলেও এবার তা পারেনি সকারুজরা। পুরো ম্যাচে সেভাবে পরিষ্কার সুযোগও তৈরি করতে পারেনি তারা। তপু বর্মণ, তারিক কাজী, মেহেদী হাসানরা রক্ষণভাগ জমাট রাখার চেষ্টা করেছে ম্যাচজুড়েই।
এমনটা হবে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন ৬০ বছর বয়সী আরনল্ড। আরো গোল না করতে পারার আফসোসের কথাও জানালেন এই কোচ, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা আরো গোল পেতে পারতাম। এ মাঠেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছিল। শেষ দিকে গোল খেয়ে হেরেছিল। আমরাও জানতাম এই ম্যাচটা কঠিন হবে।’
বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার প্রশংসা করে আরনল্ড বলেছেন, ‘পুরো কৃতিত্ব আমরা বাংলাদেশকে দিতে চাই। তারা এ ম্যাচের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা চেষ্টা করেছে…আমি মনে করি তাদের খুবেই ভালো একজন কোচ আছে, যিনি দারুণ কাজ করেছেন।’
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ হার। একমাত্র পয়েন্ট পেয়েছে লেবাননের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ হার