বিশেষ প্রতিনিধি,
গত ১২ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার কমেছে। দুইদিনে কমেছে ২৩ সেন্টিমিটার,
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি বন্ধ থাকায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে মাছের উৎপাদন ও জলজ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় জেলার বিভিন্ন হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে পানি ঢুকানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো। এতে হাওরে পানি কিছুটা বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, বৃহস্পতিবার সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৭ দশমিক ৩২ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর চেরাপুঞ্জিতে বুধবার মাত্র ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাউবোর এ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার কমেছে। দুইদিনে কমেছে ২৩ সেন্টিমিটার। মূলত দুদিন ধরে বর্ষণ ও ঢল বন্ধ থাকায় পানি কমছে।
এদিকে জেলার ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, তাহিরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাঁধ কেটে হাওরে পানি ঢুকানো শুরু হয়েছে।
সুরমা নদী সংলগ্ন দেখার হাওরেও পানি ঢুকানো হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। এতে হাওরে পানি কিছুটা বাড়ছে বলে জানান মামুন।
সুনামগঞ্জে নদ-নদী টইটম্বুর,কিন্তু হাওরে পানি নেই,বাঁধ কেটে সুনামগঞ্জের হাওরে পানি ঢুকানো হচ্ছে
হাওর আন্দোলনের নেতারা জানান, ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে না দেওয়ায় এবং যত্রতত্র ফসলরক্ষা বাঁধ তৈরি করায় হাওরে পানি ঢুকতে পারছে না। এ কারণে পাহাড়ি ঢলের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ আভ্যন্তরীণ সড়ক।
তাই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নির্ধারিত পয়েন্ট কেটে পানি ঢোকানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন কৃষক ও পরিবেশবিদরা।