নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট-সুনামগঞ্জ থেকে বন্যার পানি ধীর গতিতে নামছে। ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস কেন্দ্র। তবে বড় বন্যার কোনো শঙ্কা দেখছে না তারা। এদিকে এই নাজুক অবস্থার জন্য জলাধারের নাব্যতা কমাকেই দায়ী করছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
সুরমা-কুশিয়ারার পানি এখন সুনামগঞ্জের হাওরে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। তবে নতুন করে পাহাড়ি ঢল না আসায় পরিস্থিতি প্রায় স্থিতিশীল।
এ ছাড়া সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি দেখছে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে নদীর পানি ধীরে নামছে বলেও জানাচ্ছে তারা। এর পরিমাণ দিন ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতের সৃজন সামনে পড়ে রয়েছে। পরবর্তীতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ–নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর ফলে বড় ধরনের কোনো বন্যার পূর্বাভাস এই মুহূর্তে আমরা লক্ষ্য করছি না।’
এদিকে গত এক সপ্তাহে সুনামগঞ্জ-সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি। এর সঙ্গে উজানের ঢল যোগ হওয়ায় পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, জলাধারের নাব্যতা কমায়ও সংকট তীব্র হচ্ছে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে (সিলেটে) আমরা ২০টি নদী খনন করতে চাচ্ছি। এই প্রকল্পটি আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। সেটা একনেকে পাস করাতে পারলে কাজ শুরু হবে। আমরা পুরা সিলেট, সুনামগঞ্জ, সুরমা, কুশিয়ারা নিয়ে একটা সিস্টেম করে ড্রেজিং করে কাজটা শেষ করতে পারি, তাহলে এ ধরনের আগাম বন্যা হোক বা বৃষ্টিপাতের ফলে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।’
এদিকে তিস্তার পানি সমতলে বাড়ছে। তবে উজানের ঢলের প্রভাব এখনও দেখা দেয়নি ভাটিতে। তবে ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।