Saturday, November 23, 2024
Homeইসলামগর্ভবতী পশু কোরবানি করা যাবে?

গর্ভবতী পশু কোরবানি করা যাবে?

 

ধর্ম ও জীবন,

যাকাত এবং কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে যাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। কিন্তু কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ ই জিলহজ সূর্যাস্ত সময়ের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয় নি; তা দেখা হবে না।

 

 

কোরবানির জন্য হৃষ্টপুষ্ট ও স্বাস্থ্যবান পশু নির্বাচন করতে হয়। কোরবানির পশু সব ধরনের শারীরিক ত্রুটিমুক্ত হওয়া জরুরি। গুণগত দিক থেকে উত্তম হলো, পশুটি দেখতে সুন্দর, নিখুঁত বা দোষত্রুটি মুক্ত ও হৃষ্টপুষ্ট। যে পশু দেখলে পছন্দ হয়।

 

আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. শিংবিশিষ্ট ও মোটাতাজা একটি মেষ কোরবানি করেছেন। এর চেহারা, পা ও চোখ ছিল মিটমিটে কালো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৮)

 

পশুর মধ্যে কিছু ত্রুটি থাকলে, কোরবানি দেওয়া যাবে না। সেগুলো হলো— ১. দৃষ্টিশক্তি না থাকা, ২. শ্রবণশক্তি না থাকা, ৩. অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ হওয়া, ৪. এই পরিমাণ লেংড়া যে জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম, ৫. লেজের বেশির ভাগ অংশ কাটা।

 

৬. জন্মগতভাবে কান না থাকা, ৭. কানের বেশির ভাগ কাটা, ৮. গোড়াসহ শিং উপড়ে যাওয়া, ৯. পাগল হওয়ার কারণে ঘাস-পানি ঠিকমতো না খাওয়া, ১০. বেশির ভাগ দাঁত না থাকা, ১১. রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে যাওয়া, ১২. ছাগলের দুটি দুধের যেকোনো একটি কাটা, ১৩. গরু বা মহিষের চারটি দুধের যেকোনো দুটি কাটা।

 

আর কোরবানির নিয়ত করা কোনো পশু যদি অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী হয় তাহলে তা কোরবানি করা জায়েজ। তবে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে—এমন পশু কোরবানি করা মাকরুহ।

 

আর জবাই করার পর পেটে বাচ্চা পেলে তা সদকা করে দেওয়া বা জবাই করে গোশত খাওয়া উভয়টি বৈধ। তবে মৃত বাচ্চা পেলে তার গোশত খাওয়া বৈধ হবে না। (হেদায়া: ৪/৪৩২; ফতোয়ায়ে শামি: ৫/২২৭)।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments