Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
সিলেটের সব পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Saturday, April 19, 2025
Homeসিলেট বিভাগসিলেটের সব পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা

সিলেটের সব পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা

বিশেষ প্রতিনিধি,

 

অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিছানাকান্দি, সাদা পাথর, রাতারগুল ও লালাখাল বন্ধ থাকবে।

 

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের অন্তত ৮টি উপজেলায় বন্যা হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।

 

 

এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। বুধবার বিকেল থেকে এসব উপজেলায় হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন লাখো মানুষ। রাতে খবর পাওয়া যায়- অনেকের ঘরে গলা পর্যন্ত ঢুকে পড়ে পানি। অনেকের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়। ভেসে যায় গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ। এ অবস্থায় যে যেটুকু পারছেন সেটুকু নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খুঁজে।

 

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উপজেলার ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটন ঘাটসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

 

 

জাফলং পর্যটন স্পট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন- গতকাল (বুধবার) এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

 

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ- এই ৫টি উপজেলায় মোট ২১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬, জৈন্তাপুরে ৪৮, কানাইঘাটে ১৮, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫ ও জকিগঞ্জে ৫৮টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মঙ্গলবার বিকেল থেকে মানুষজন উঠতে শুরু করেছেন।

 

এছাড়া বন্যাকবলিত লোকজনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০০ বস্তা করে মোট ১ হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ১৫ মেট্রিক টন করে ৭৫ মেট্রিক টন চাল, ৫০ হাজার টাকা করে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং সারিগোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments