জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে স্বাভাবিক পারফরম্যান্সই করেছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম গোলরক্ষক হয়ে টানা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। মাথায় আঘাতের পর একটি ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞতা ও ভালো পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বাদ পড়ায় বিস্মিত হয়েছেন সাফের সেরা গোলরক্ষক।
দল ঘোষণার পর জিকো নিজের নাম না দেখায় খানিকটা বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘দ্বিতীয় লেগে আমার ক্লিনশিট (গোল হজম না করা) অন্যদের চেয়ে ভালো। পারফরম্যান্স বিচারে তো আমি বাদ পড়ার মতো ছিলাম না। এরপরও কেন নেই এর উত্তর কোচ ও ম্যানেজম্যান্ট দিতে পারবে।’ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে তারতম্য অনেক।
আসন্ন দুই ম্যাচের জন্য ডাক পাওয়া তিন জনের মধ্যে সুজন এবারই প্রথম জাতীয় দলে। বাকি দুই জন মিতুল মারমা ও মেহেদী হাসান শ্রাবণের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুবই স্বল্প। অথচ দলে একজন অভিজ্ঞ গোলরক্ষকের প্রয়োজন থাকেই।
জিকো কেন নেই, স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে সরাসরি এই প্রশ্ন করার সুযোগ হয়নি সংবাদ মাধ্যমের। বাফুফে সামাজিক মাধ্যমে দল ঘোষণার দুই ঘণ্টা পর কোচের একটা বিবৃতি সরবরাহ করে। সেখানে তিনি জিকোর বাদ পড়া নিয়ে কোনো ব্যাখা না দিয়ে, মোহামেডানের প্রশংসা করার সময় গোলরক্ষক সুজনের প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘মোহামেডান বিপিএল এবং দুই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। সেখানে দারুণ করেছে গোলরক্ষক সুজন। তার অবশ্যই দুই ম্যাচের জন্য দলে ডাক পাওয়া প্রাপ্য।’
বসুন্ধরা কিংস এই মৌসুমে ট্রেবল জিতলেও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জিতেছে মোহামেডান। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে মোহামেডান দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। বসুন্ধরা কিংসকে প্রতিবারই বড় চ্যালেঞ্জে ফেলেছে তারা। সেই মোহামেডানের মাত্র তিন জন ফুটবলারকে ডেকেছেন জাতীয় দলের কোচ। মিনহাজ রাকিব (বাল্লু) ও আরিফের মতো পরীক্ষিত পারফর্মারের বদলে মজিবুর রহমান জনি, রফিকুল ইসলামের মতো লিগে অনিয়মিত খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের ক্যাম্পে আসছেন।
এই বিষয়টি ইঙ্গিত করে মোহামেডানের কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদ বলেন, ‘যারা নিয়মিত লিগে খেলছে তাদের থেকেই জাতীয় দল গঠন হওয়া উচিৎ।’
যদিও মোহামেডানের আরও বেশি সংখ্যক ফুটবলার জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ায় আলফাজ সেভাবে কড়া সমালোচনা করেননি। তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রাইকিং পজিশন নিয়ে ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন, ‘জাতীয় দলে এখন পরীক্ষিত স্ট্রাইকার নেই। তিনি (কোচ) স্ট্রাইকার তৈরির ক্ষেত্রে তেমন মনোযোগী ও উদ্যোগী নন।’
জাতীয় দল ঘোষণার পর প্রায় সব সময়ই নানা প্রশ্ন থাকে। কোচ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সেই প্রশ্ন খণ্ডান।এবার অনেক প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলেও বাফুফে এক কোচের বার্তা দিয়েছে যা মূলত তার দলের সাফাই, ‘দল গঠন করাটা চ্যালেঞ্জিংই ছিল।
কিছু খেলোয়াড় কার্ডের জন্য সাসপেন্ড, আবার কিছু খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে কার্ড পেলে পরের ম্যাচ খেলতে পারবে না। তাই দল গঠনে একটু কৌশলী হতে হয়েছে।
এই মুহূর্তে যারা সেরা তাদেরই নির্বাচন করা হয়েছে। তারিক ও মোরসালিনের ফেরাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আমরা ইতিবাচকভাবেই বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাই পর্ব শেষ করব।’