বিশেষ প্রতিনিধি,
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বুধবার তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট নেওয়া হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে চলছে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা।
তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও মামলাজনিত কারণে এসব উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এসব উপজেলার মধ্যে ২০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৯ জুন। ক্ষয়ক্ষতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে ২২ উপজেলার ভোট।
নির্বাচনে এ পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে যাঁরা উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন, তাঁরা হলেন– দিনাজপুরের খানসামায় সহিদুজ্জামান শাহ, সদরে ইমদাদা সরকার, চিরিরবন্দরে সুনীল কুমার সাহা। শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আবদুর রশিদ গোলন্দাজ, গোসাইরহাটে মোশাররফ সরদার। সাতক্ষীরা সদরে মশিউর রহমান বাবু। রাঙামাটির নানিয়ার চর অমর জীবন চাকমা, লংগদুতে বাবুল দাশ বাবু।
বগুড়া সদরে শুভাশিষ পোদ্দার লিটন। চট্টগ্রামের পটিয়ায় দিদারুল আলম। মানিকগঞ্জ সদরে সুদেব কুমার সাহা, সাটুরিয়ায় শাহজাহান আলী। টাঙ্গাইলের নাগপুরে কে এম সালমান সামস, দেলদুয়ারে মারুফ হাসান। যশোরের বাঘারপাড়ায় বিপুল ফারাজী, অভয়নগরে সরদার ওলিয়ার রহমান। রংপুর সদরে ইকবাল হোসেন, গংগাচড়ায় রুহুল আমিন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আখতারুল ইসলাম। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কাওছার ভুইয়া, সদরপুরে শহিদুল ইসলাম বাবুল। খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিমল চাকমা, লক্ষীছড়ি উপজেলায় সুপার জ্যোতি চাকমা।
সিলেটের বালাগঞ্জে আনহার মিয়া, ফেঞ্চুগঞ্জে আশফাকুল ইসলাম সাব্বির, বিয়ানীবাজারে আবুল কাশেম পল্লব। সুনামগঞ্জের ছাতকে রফিকুল ইসলাম কিরন, দোয়ারাবাজারে তানভির চৌধুরী আশরাফ। ফেনী সদরে শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজীতে জহির মাহমুদ লিপটন, দাগনভুঞায় দিদারুল কবীর রতন। পাবনার আটঘরিয়ায় তানভীর ইসলাম। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আব্দুর রশিদ তালুকদার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এছাড়া বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী ছিলেন। ইভিএমে ১৬ উপজেলায় বাকিগুলো ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।