স্পোর্টস ডেস্ক,
ক্রিকেট যে দেশটায় এখনও সেভাবে পরিচিতিই পায়নি, সেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টানা দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। পুঁচকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের শঙ্কায় কাঁপছিল সবকয়টি বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশ। তবে সেই লজ্জায় আর পড়তে হলো না টাইগারদের। মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া যুক্তরাষ্ট্রকে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমের নৈপুণ্যে হেসেখেলে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল টাইগাররা।
শনিবার (২৫ মে) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করা যুক্তরাষ্ট্র মুস্তাফিজুর রহমানের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে তানজিদ তামিমের অর্ধশতকে ৫০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালেও প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা ঘুচাতে পারেনি বাংলাদেশ।
সিরিজ হেরে বসা বাংলাদেশ এদিনও টস জিতে ফিল্ডিং নেয়। আগে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশ মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে মাত্র ১০৪ রানেই আটকে রাখে যুক্তরাষ্ট্রকে। মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট শিকার করেণ মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন এটিই।
মাত্র ১০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের সামনে এদিন ছিল না আস্কিং রানরেট নিয়ে কোনো চাপ- ওভারপ্রতি মোটে ৫ রানের একটু বেশি। চাপমুক্ত হয়ে খেলতে নামা দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার খেলেছেন সাবলীল ক্রিকেট। আগের দুই ম্যাচের সঙ্গে এদিণ বাংলাদেশের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ মেলানোই যায় না। তানজিদ ১৩৮.০৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন। অপর দিকে আরও বেশি মারমুখী ছিলেন সৌম্য সরকার। তিনি ব্যাট করেছেন ১৫৩.৫৭ স্ট্রাইক রেটে।
দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১.৪ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম এদিন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন। ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আরেক প্রান্তে সৌম্য মাত্র ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেন।