Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
আজকের দিনটি ‘চা খোরদের’ ২১ মে আজ চা দিবস - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Thursday, April 17, 2025
Homeআন্তর্জাতিকআজকের দিনটি ‘চা খোরদের’ ২১ মে আজ চা দিবস

আজকের দিনটি ‘চা খোরদের’ ২১ মে আজ চা দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক,

 

চায়ের কাপে চুমুক না দিলে বাঙালির দিন শুরু হয় না। আড্ডার আসরে চায়ের কাপে ওঠে ঝড়। ঠিক তেমনই প্রিয়জনের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতেও সঙ্গে চা থাকলে আবহটাই বদলে যায়। চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক নিবিড়। চা যে মনের যত্ন নেয়, সে কথা ভুল নয়। চায়ের সঙ্গে কারও প্রেম এতটাই গভীর যে সারা দিন চা ছাড়া তাদের চলে না।

 

আজ ২১ মে, বিশ্ব চা দিবস। তাই বলা যায়, আজকের দিনটি চা প্রেমীদের দিন। এই চা প্রেমীদের আবার আমরা ‘চা-খোর’ও বলি! তারা চাইলে আজকের দিনটি উদযাপনে একত্রিত হতে পারেন, কিংবা মেতে উঠতে পারেন চা আড্ডায়।

 

 

চা প্রেমী মানুষদের কাছে এটি একটি আবেগের নাম। কারণ চা ছাড়া তাদের চলেই না। মন ভালো থাকলে তারা চা খায়, মন খারাপ থাকলে চা খায়, ঠান্ডা লাগলেও চা খায় আবার গরম লাগলেও চা খায়।

 

 

জেনে অবাক হবেন যে, চা বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় পানীয়। ন্যাশনাল টুডে’র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়।

 

 

২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে ‘হ্যাঁ’ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।

 

 

ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে।

 

 

চা মূলত চীন থেকে এসেছে। আর গরম চায়ের আছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। যা প্রায় ৫ হাজার বছর আগের। বছরের পর বছর ধরে চা নিয়ে নানান গবেষণা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গরম পানির সঙ্গে গুল্ম ও পাতা মিশিয়ে পান করা হয়েছে। কিন্তু চায়ের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ গরম পানির সঙ্গে কয়েক টুকরো চা পাতার মিশিয়ে পান করা। এই পাতা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। আর ষোড়শ শতাব্দীর আগে ইউরোপে চা প্রবেশ করতে পারেনি।

 

 

১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন প্রবর্তিত হয়। শুধু তাই নয় তখন বিশ্বব্যাপী এটি একটি শিল্প হয়ে ওঠে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments