নিজস্ব প্রতিবেদক:::
বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ দুর্ভোগ। তবে হাওরাঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে ২০ মিনিট বৃষ্টি স্থায়ী ছিল। বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জেলার জগন্নাথপুর, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তবে শিলাবৃষ্টি হলেও ধানসহ অন্যান্য ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে জেলার সবকটি হাওরের ৮৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
অন্যদিনের তুলনায় আজ দিনের তাপমাত্রা ছিল বেশি। অর্থাৎ অন্যদিন সুনামগঞ্জে দিনের তাপমাত্রা থাকে ৩১ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সারাদিন ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই তাপের মধ্যে হাওরে ফসল ঘরে তুলার কাজে থাকা কিষাণ–কিষাণীরা কষ্ট ভোগ করে। তারপরও জেলার মানুষ এই মুহূর্তে বৃষ্টি না আসার জন্যই প্রার্থনা করছে। কারণ এখনো হাওরে রয়েছে পাঁকা ধান। মাঠে শুকানোর জন্য রয়েছে লাখ লাখ টন ধান। এখন বৃষ্টি মানেই মাঠে থাকা আধা শুকনো ধান নষ্ট হয়ে যাওয়া।
আগামী ২ মে থেকে আরও ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত পাকা ধান কেটে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আগামী ২ মে থেকে সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হবে। এই সময়ে জেলার নদ নদীর পানি বাড়তে পারে। এই সময়ের আগে জমিতে থাকা পাঁকা ধান কেটে নেওয়ার অনুরোধ করছি আমরা।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘আগামী ৫ মের মধ্যে সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরের ৯৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। সামান্য কিছু উঁচু জমির ধান থাকবে, যা ১৫ মের ভেতর কাটা শেষ হবে। তবে আগাম বন্যা হলেও এসব জমির ধান নষ্ট হবে না, যেহেতু জমিগুলো উঁচু স্থানে।