নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট মহানগরে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিকশা আর লেগুনা স্ট্যান্ড। এসব অবৈধ স্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ি রাখা নিয়েও চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। নিয়ম-নীতি বা আইন কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেন না তার। এসব স্ট্যান্ডে যাত্রীদের হয়রানি করারও অভিযোগ ওঠেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কিংবা ট্রাফিক বিভাগ এসব অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বললেও কোনো সুফল মিলছে না।
ব্যস্ত সড়কগুলোর পাশে সারি সারি গাড়ি রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহানগরবাসীকে। এবং তৈরি হচ্ছে ব্যপক যানজট।
মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পয়েন্টে একাধিক স্ট্যান্ড স্থাপন করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা। ব্যস্ত এলাকা কোর্ট পয়েন্ট ঘিরে রয়েছে চারটি স্ট্যান্ড। একইভাবে আম্বরখানা, সুবিদবাজার, চৌহাট্টা, শাহী ঈদগাহ, নাইওরপুল, শাহজালাল ব্রিজ, ধোপাদিঘিরপার, টিলাগড়, কদমতলী, ওসমানী এয়ারপোর্ট এবং শহরতলির কুমারগাঁও, শাহপরান ও চণ্ডিপুল এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে।
নগরীর ব্যস্ততম চৌহাট্টা পয়েন্টও রয়েছে কার ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড, সেখানে নতুন করে গড়ে উঠেছে আরেকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড।
এসব অবৈধ স্ট্যান্ড আর যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে দিনভর মহানগরে লেগে থাকে যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যানজটের কারণ নষ্ট হচ্ছে সময়, গরমে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই।
অভিযোগ রয়েছে এসব স্ট্যান্ডেগুলোতে যাত্রীদের করা হয় হয়রানি। রাখা হয় বাড়তি ভাড়া।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, প্রকৃত পক্ষে সিলেট মহানগরে কোন স্ট্যান্ড নেই। তারপরেও পয়েন্টগুলোতে অবৈধভাবে স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা সিএনজি গুলোকে শৃঙ্খলার আনতে কাজ করছি।
মহানগরে সিএনজি যে পরিমাণ থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি আছে। যার ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে যানজট কমাতে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একযোগে কাজ করছে সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, মহানগরে কোন বৈধ স্ট্যান্ড না থাকলেও যাত্রীদের সুবিধার্থে অনেক পয়েন্ট থেকে স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা রাস্তায় শৃঙ্খলা আনতে কাজ করছি। একই সাথে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। স্ট্যান্ডগুলো যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিসিক মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে আলোচনা করেছি।