স্পোর্টস ডেস্ক,
বাংলাদেশে এখন চলছে তীব্র দাবদাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে আরও বেশি গরম অনুভূত হবে। এতেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। তীব্র গরমেই নারী ফুটবল লিগে দিনে দুটি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা।
নারী ফুটবল লিগ এলেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যেন আর্থিক সংকটের বড় এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। গত বছর আর্থিক সংকটের কথা বলে মেয়েদের অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠাতে পারেনি বাফুফে। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নারী ফুটবল লিগ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে, আর তাতেও আর্থিক সংকটের কথা উঠে এসেছে।
তীব্র গরমের মাঝে সকাল সাড়ে নয়টা ও বিকেল পৌনে চারটায় নারী ফুটবল লিগের ম্যাচ রেখেছে। রাতে ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না ফেডারেশন তাঁর কারণ অর্থ সংকট।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট থাকা সত্ত্বেও রোদের মধ্যে লিগ কেন এই প্রশ্নের উত্তরে গতকাল বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘ফ্লাডলাইটে খেলা চালাতে হলে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে। আমাদের টাকা নেই। খুব কষ্ট করে আমরা স্পনসর এনে খেলা আয়োজন করি।’
ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাফুফে কখনো বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। স্টেডিয়ামের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদই ফ্লাডলাইটের বিল দিয়েছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামেও একই সিস্টেম ছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মের পরিবর্তন এনেছে বলে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের চিঠি দিয়েছে ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে মিটার রিডিং অনুযায়ী বিল প্রদান করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ডের খেলা চালিয়েছি। এতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টাকা লাগে।’
নারী ফুটবল লিগে মোট ৩৬ ম্যাচ। প্রতি দিন দুটো করে ম্যাচ। সেই হিসেবে ১৮ দিনে গড়ে ফ্লাডলাইট বিল ১৩ হাজার করে হলে আড়াই লাখ টাকারও কম বিল হবে। সে অর্থই নাকি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বাফুফের।