বিশেষ প্রতিনিধি,
সমগ্র বাংলাদেশ যেখানে গরমে পুড়ছে সেখানে শীতল আবহাওয়া সিলেটে। প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে বৃষ্টি, শীতল বাতাসে প্রশান্তিতে মানুষ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, হাওর, পাহাড়, টিলা, আর অসংখ্যা গাছপালা ঘিরে থাকায় সিলেটে তাপদাহ প্রভাব ফেলছে না।
জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৩৫ ডিগ্রি আর সর্বনিম্ন ২০। তাপদাহ কমাতে তাই বেশি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ আবহাওয়াবিদদের।
তীব্র গরমে যখন পুড়ছে সমগ্র বাংলাদেশ আর বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জেলায় চলছে প্রার্থনা, ঠিক তখন ভিন্নচিত্র প্রকৃতিকন্যা পুণ্যভূমি সিলেটে।
গ্রীষ্মকালে সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি রেকর্ড হয় ২০১৪ সালে। এর বেশি উত্তাপ কখনোই দেখেনি সিলেটবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলার চার দিকে পাহাড়, বন, গাছ থাকায় এমন শীতল আবহাওয়া অনুভব করছেন তারা। প্রায় সব দিন রাত ১২টার পর থেকে শীত অনুভূত হয়।
সিলেটের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ভৌগোলিক দিক থেকে সিলেটের অবস্থান ভালো। জেলার তিনদিকে পাহাড় আর একদিকে হাওর। আর অন্য দিকে চা-বাগান ও টিলা। প্রতিটি বাসা বাড়িতেই আছে গাছপালা। যে কারণে শীতল আবহাওয়া আর বৃষ্টি এখানে নিয়মিত।
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ, সহসা মিলবে না মুক্তিতীব্র গরমে পুড়ছে দেশ, সহসা মিলবে না মুক্তি
তবে ভবিষ্যতে জলাধার ভরাট ও পাহাড়-টিলা কাটা হলে দেশের উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলের মতো অবস্থা হবে সিলেটেরও হতে পারে বলে সতর্কতাও দেন এই আবহাওয়াবিদ।