কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার বিয়েবিচ্ছেদ ঘোষণার পর বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘুরপাক খাচ্ছে। এতে লেখা— ‘জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতায়, বিল গেটসের টাকায়, ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তায়, হুমায়ন ফরীদির ভালোবাসায়, তাহসানের কণ্ঠে কিংবা হৃতিক রোশানের স্মার্টনেসে— কোনো কিছুই নারীকে আটকাতে পারেনি। বলতে পারবেন নারী আসলে কিসে আটকায়?’
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ চিটাগাং রোড ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদে জুমার পর এক মুসল্লির পক্ষ থেকে শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘নারীরা নাকি কিছুতেই আটকায় না, ইসলামে নারীদের আটকানোর আদৌ কোনো জায়গা কি আছে?’
প্রশ্নোত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কিছু দিন পর পর অহেতুক আলোচনার একেকটা আইটেম বের হয়। ওই আইটেমের ওপর আমরা নানা মত দিই। আমাদের মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগাই। যথেষ্ট সময় ব্যয় করি। প্রচুর সময় থাকলে যা হয় আর কি! কেউ বলছেন, নারীকে প্রেসিডেন্টও আটকাতে পারে না। আবার কেউ বলছেন, অমুক অমুক দিয়ে নারীকে আটকানো যায়। যার যার মতো চিন্তা-গবেষণা করে সবাই মতামত দিচ্ছেন।
একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে। সেটি হলো— আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরিব—যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে।
প্রশ্ন যেহেতু করেই ফেলেছেন, উত্তর দিচ্ছি। একজন মুসলমান হিসেবে নারী ও পুরুষ সবারই আটকানোর একটাই জায়গা আছে। সেটি হলো— আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ ও নিষেধ। মুসলমান পুরুষ হোক বা নারী, বৃদ্ধ হোক বা যুবক, ধনী হোক বা গরিব— যখন কিছু করতে গিয়ে দেখবে যে, এ বিষয়ে আল্লাহর এই আদেশ আছে বা এই নিষেধ আছে, তখন সে আটকে যাবে। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ-নিষেধের বিরোধী চিন্তা নিয়ে সে অগ্রসর হতে পারবে না। এটি শুধু আটকে যাওয়া নয়, একই সঙ্গে তার চূড়ান্ত সফলতার পথও।
ঠিক একই কথা পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য। স্ত্রীর প্রতি অন্যায়-অবিচার করা নিষেধ। ছোটলোকের মতো আচরণ স্ত্রীদের সঙ্গে করা যাবে না। সুতরাং এসব বিষয়ে পুরুষ আটকে যাবে।
আল্লাহতায়ালা যেহেতু নির্দেশ করেছেন, তুমি তোমার সংসার জীবনে এই এই পদ্ধতি অবলম্বন করো, সবর করো, শোকর করো। সুতরাং এটা তার ঠেকার জায়গা। কেননা নির্দেশটা আল্লাহতায়ালারই।