বিনোদন ডেস্ক,
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী গোপনে বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালে। বিয়ের দুই বছর পরই তাদের সংসার আলো করে আসে একটি পুত্রসন্তান। সময়ের সাথে সাথে এই দম্পতির মধ্য দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে যা গড়ায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিচ্ছেদ হওয়া বাকি, তবে বহুদিন ধরেই এক ছাদের নিচে থাকছেন না শাকিব-বুবলী। বিগত সময়গুলোতে দুজনেই তাদের সম্পর্কের ফাটলের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছেন।
তবে সম্প্রতি সময়ে শাকিব-বুবলীর মধ্যেকার বরফ যেন গলতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে ইতিবাচক কথা বলতে দেখা যাচ্ছে এই নায়িকাকে। যারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বুবলী জানালেন, তার জীবনে শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ঈদ পূর্ববর্তী দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান বুবলী। যেখানে এই নায়িকাকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আগামী দিনগুলো কী এভাবেই কাটিয়ে দিবেন কি না?
শাকিব আমাকে ‘লক্ষ্মী’ বলে ডাকতেন : বুবলী
জবাবে বুবলী বলেন, ‘আমি এভাবেই কাটিয়ে দিব। এ বিষয়ে ভাবতে একবিন্দুও সময় নিব না। আমার সন্তানই এখন সবকিছু। কোনো প্রেম, সম্পর্ক কিছুই আমার কাছে ঘেষতে পারবে না। আগামীতে চলচ্চিত্র, সন্তান, পরিবার সেসবেই সময় দিব।’
উপস্থাপক তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, যখন নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ হবে তখন কী এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে? নতুন কোনো সম্পর্ক বা বিয়ের বিষয়ে ভাববেন না?
বুবলীর সাফ উত্তর, ‘এই সিদ্ধান্ত কখনোই বদল হবে না। আমি যখন নায়িকা থাকবো না, তখনও না। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মনে হয়, আমি এভাবেই থাকব। এভাবেই চলতে চাই।’
শাকিব ব্যতীত জীবনে অন্য কোনো পুরুষের জায়গা নেই বলেও জানান বুবলী। এই নায়িকা বলেন, ‘শাকিব খানকে ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না। বুবলীর জীবনে রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দিবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে।’
শাকিবকে বিয়ে করা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত, কখনো এমনটা মনে হয়েছে কি না— প্রশ্নে বুবলী বলেন, ‘হ্যাঁ মনে হয়েছে। কারণ আমার জীবনে অনেক কঠিন সময়ে যখন তাকে পাশে প্রয়োজন ছিল, তখন আমি তাকে পাশে পাইনি। ওই সময়গুলোতে মনে হয়েছে, তাকে বিয়ের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল।