বিনোদন প্রতিবেদক :
বিভিন্ন রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন,’ঈদের মেহেদির ধাঁচটাই আলাদা। এটি ব্রাইডাল মেহেদির মতোও নয়, পার্টির জন্য হাত রাঙানোর মতোও নয়।’ কেমন পোশাক পরবেন ঈদের সময়, সেই ধরনটি মাথায় রেখে মেহেদির নকশা বেছে নিতে পারেন। পাশ্চাত্য ধারার পোশাকের সঙ্গে সচরাচর মেহেদি পরা না হলেও ঈদের সময় এই নিয়ম কিন্তু একদমই থাকে না।
একসময় হাত ভরে মেহেদি পরার প্রচলন থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব সাদামাটা ধরনের আর সূক্ষ্ম স্ট্রোকের নকশার প্রচলন চলছে। কলকা আর অন্যান্য আকৃতিভিত্তিক মোটিফও থাকছে। কলকা অবশ্য সব সময়ই সুন্দর। এটি ছাড়া মেহেদির নকশা চিন্তা করা যায় না। ঐতিহ্যবাহী বা আধুনিক —যেকোনোভাবেই কলকার নকশা কাজে লাগানো যায়। ডট বা বিন্দু মোটিফও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তিনটি বা পাঁচটি বিন্দু নিয়ে হয়তো বিন্দু মোটিফ তৈরি হলো, কিংবা আরও বেশি। হয়তোবা তিনটি বিন্দু থেকে একটি বিন্দুতে নেওয়াটাই হলো নকশার ধরন। নিজের রুচি অনুযায়ী পছন্দের নকশাটি বেছে নিন।
পোশাক বুঝে মেহেদির নকশা
পাশ্চাত্য ধারার পোশাক ও সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পুরো হাত ভরে মেহেদি পরলে খুব একটা ভালো লাগে না, বরং হাতের কোণে মেহেদি লাগালে সুন্দর লাগে। ট্যাটুর মতোও করতে পারেন মেহেদি দিয়ে। আল্পনার নকশা, কলকা বা অন্যান্য আকৃতিভিত্তিক নকশা করা যায়। শুধু গোলাকার নকশার ব্যবহার করতে পারেন। জ্যামিতিক বিভিন্ন মোটিফ থাকতে পারে শুধু আঙুলে বা তালুর কোণে। ৩৬০ ডিগ্রি নকশা হতে পারে, বাকি অংশ খালি থাকলে। উপরে হয়তো কলকা, নিচে আবার ফুল। এভাবে নকশায় আনতে পারেন বৈচিত্র্য। আঙুলে একক মোটিফের নকশা করা যায়। তালুর এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত ইংরেজি এস আকৃতির প্যাটার্নে নকশা করতে পারেন।
এখনকার ফ্যাশনধারায় খানিকটা ফাঁকা রাখা হয় নকশার মাঝে মাঝে। নকশার অংশটুকু ঠিকই ভরাট থাকল। আশপাশের অংশ ফাঁকা থাকলে নকশাটা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। উপরের দিকে ভারী নকশা, নিচের দিকে হালকা। এভাবে ফিউশন করতে পারেন। আবার উপর ও নিচে একই রকম নকশাও হতে পারে।
নখের চারপাশে মেহেদির কাজ থাকতে পারে। নখে নেইলপলিশ চাইলে প্রথমে নেইলপলিশ লাগিয়ে এরপর হাতে মেহেদি লাগান, নখে আর মেহেদির ছোপ থাকবে না। আর নখে মেহেদি লাগাতে চাইলে তো ভিন্ন কথা, সেটিও ভালো দেখায়।
শাড়ি পরলে এবং পুরো হাত রাঙালে সুন্দর লাগবে। হাতের উপরের পিঠে কনুই পর্যন্ত ভরাট নকশা হতে পারে। আর বিয়ের পর এটি যদি হয় প্রথম ঈদ, তাহলে পোশাক যেমন ধারাই হোক না কেনো, ব্রাইডাল মেহেদিতেই ফুটিয়ে তুলতে পারেন প্রথম ঈদের আনন্দ।
ভালো রং পেতে কী করবেন :
মেহেদি পরার আগে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ও মুছে নেওয়ার পরামর্শ দেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। মেহেদির আগে হাতে লোশন জাতীয় কিছু লাগাবেন না। ফেয়ার পলিশ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেহেদি লাগাবেন না। ইনস্ট্যান্ট মেহেদি কম সময়েই রং দেয়, আবার কম সময়েই সেই রং উঠেও যায়। কাজেই এ ধরনের মেহেদি এড়িয়ে চলাই ভালো।
মেহেদি শুকিয়ে যাবার পর তা ফেলে দেওয়া হয়ে গেলে যা করতে পারেন :
পানি ও সাবান এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। পারলে পানি লাগাবেন একেবারে পরদিন। সামান্য লেবুর রস তুলায় করে লাগাতে পারেন।চিনি – পানি লাগানো যায়। নারকেল তেল দিলে শুষ্কভাবটা কম হবে। সর্ষের তেল বা অন্য তেলও দিতে পারেন। তেল দেওয়া অবস্থায় অল্প সময়ের জন্য হাত চুলার তাপে রাখতে পারেন।
মডেল : আঁচল স্মৃতি