লাইফস্টাইল প্রতিবেদক :
সৌন্দর্য পিয়াসী নারীরা রমজান মাসের শুরু থেকেই ঈদের রূপচর্চার প্রস্তুতি শুরু করে দেন। কিন্তু গরমের এই সময়টাতে রোজা হওয়ায় অনেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় নাজেহাল হয়ে থাকেন। পাশাপাশি রোজায় পানিশূন্যতা ত্বকে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। তাই শুরুতেই জেনে নিন রোজায় ত্বকের যত্নে কী করবেন!
প্রথমত গরমকালে সুতি জামা-কাপড় পরার চেষ্টা করবেন। সকালে, দুপুরে আর সারা দিনের কাজের শেষে বা রাতে ঘুমের আগে গোসল করবেন। এটা করলে শরীর আরাম পাবে এবং বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আর প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখ ও হাতের ত্বক পরিষ্কার থাকবে।
রমজানে ত্বকের জন্য পানি খুব দরকার। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরের টক্সিন বের করে দেয় ও শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। পানি পানে ত্বকের অর্দ্রতা ফিরে আসে। প্রাণবন্ত ত্বক পেতে তাই ইফতারের পর থেকে সেহরী পর্যন্ত একটু পর পর পানি ও তরল খাবারও খেতে হবে।
পানিশূন্যতায় এই রমজানে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। রোজায় ঠোঁট ফেটে গেলে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন।
প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং কারও কারও ঘাম বের না হতে পেরে শরীরে ঘামাচি, সামার বয়েল বা ফোঁড়ার মত বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীর শুষ্ক রাখতে ওলেন্টিয়ন কম্পোজিশন, কিউটি কুরা নামে বিভিন্ন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
গরমে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগেন মেছতা সমস্যায়। কোনো অপচিকিৎসায় বিভ্রান্ত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রসাধনী ব্যবহার করবেন। আর মেছতা থাকুক বা না থাকুক, ত্বকের যত্নে ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল সান ব্লক ব্যবহার করত পারেন।
সবশেষে আরেকটি কথা বলতে হয় – রমজানে ঘুমের সময়ে পরিবর্তন আসায় সেটার ছাপও কিন্তু ত্বকে পড়ে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাবেন। সম্ভব হলে ৮ ঘণ্টা। সেহরী ও ইফতারে শাকসবজি, ফলমূল, বেশি পরিমাণে পানি, শরবত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে রোজায়ও ত্বক থাকবে কোমল ও মসৃণ।