বিশেষ প্রতিনিধি,
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ৯ বছরের ছেলেশিশুকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই যুবকের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ইদ্রিস আলি (৪০), মোহাম্মদ আলী (৩০), কামাল মিয়া (৩৫), তাফির আলী (৩৫), রহমত আলী (৩২), কাবিল (৪০), মোশাররফ আলী (৩০), আলাউদ্দীন (৩০), রুমেনা বেগম (২৫) রুজিনা বেগম (২৮), মমিনা (৩২)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকও ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে মজনু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছেলেশিশুকে বলৎকারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় লোকজন। পরে শিশুটির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মজনু মিয়ার অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করেন।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপযার্য়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহত দুজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিমের মা জানান, পাশের বাড়ীর মজনু মিয়া আমার ছেলেকে নিয়ে নিরিবিলি স্থানে (কচুবিলেরপাড়ে) বলাৎকার করে। এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে আমিসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ছেলেকে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল ভর্তি আছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বলেন, শিশুকে বলৎকারের অভিযোগের ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিশুটিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।