বিশেষ প্রতিনিধি,
বন্যার শঙ্কায় ফসলরক্ষায় বাঁধে জরুরী মেরামত করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অতিবৃষ্টি ও আগাম বন্যা শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি হলে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের বোরো ফসলের ক্ষেত। টেকসই বাঁধ না থাকায় ফসলের ক্ষতি শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তবে ফসলরক্ষায় বাঁধে জরুরী মেরামতের জন্য প্রস্তুত পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০১৭ সালের মার্চের ২৮ তারিখ ভারতের মেঘালয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ফসলরক্ষা বাঁধ পুরোপুরি ভেঙ্গে তলিয়ে যায় ফসল। এছাড়া ২০২২ সালে আগাম বন্যায় ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়।
চলতি মাসের শেষের দিকে অধিক বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ ৭৩৪টির মধ্যে অধিকাংশ বাঁধই টেকশই হয়নি। একজন কৃষক বলেন, ‘বাঁধগুলো যদি ঠিকমতো হয় তাহলে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি। ফসলগুলো ঠিকমত তুলতে পারি।’
মাসের শেষের দিকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি কম হলে বন্যার শঙ্কা নেই। তবে সার্বিক বিবেচনায় বাঁধগুলো জরুরী মেরামতের প্রস্তুতি আছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে যদি বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের এখানে বন্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের এখানে যেটা পূর্বাভাস আছে যে বৃষ্টিপাত হতে পারে তবে বন্যার পূর্বাভাস আমরা পাইনি।’
জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘প্রয়োজনবোধে আমরা কিছু অতিরিক্ত বস্তা আর বাঁশ দিয়ে রেখেছি। যদি বন্যা বা কোনো ইমার্জেন্সি হয় তাহলে যেন এগুলো রক্ষা করা যায়। পিআইসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই আমরা অবহিত করে রেখেছি যেন তারা প্রস্তুত থাকে।’
জেলায় চলতি বছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।