স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩০টি ইজিবাইক, ১০টি মোটরবাইক ভাঙচুর ও ইজিবাইক সমিতির কার্যালয়ে ডুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকালে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ভাঙচুরের মূলহুতা একই ইউনিয়নের ঢালারপাড় গ্রামের মৃত আলীনূরের ছেলে বিল্লাল হোসেন সহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে ২০/২৫জনকে অজ্ঞাত রেখে শনিবার সকালে তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে লাউড়েরগড় ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি কাহার মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার দুপুরে লাউড়েরগড় বাজারে ইসব আলী নামে এক ইজিবাইক চালাক তার ইজিবাইক নিয়ে স্ট্যান্ডে বসে থাকে। এই সময় স্থানীয় প্রভাবশালী বিল্লাল মিয়ার ভাতিজা সুমন মিয়া নেশা করে স্ট্যান্ডে এসে তার বাড়ি ঢালারপাড় যেতে চাইলে ড্রাইভার সুমন মিয়া না যেতে চাইলে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ইসব আলীকে মারধর করে ইজিবাইক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ইজিবাইক সমিতির সভাপতি কাহার মিয়া ও স্থানীয় সাবেক মেম্বার মুস্তফা মিয়াকে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য সুমনের চাচা বিল্লাল হোসেন কে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন বাজারে আসলে মুস্তফা মিয়া ও বিল্লালের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিল্লাল ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে বাজারে রাখা ৩০টি ইজিবাইক, ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে, সমিতির কার্যালয়ে ডুকে চেয়ার টেবিল ভাঙচুরসহ কার্যালয়ে টানানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলে। এতে উপস্থিত নিরীহ ড্রাইভারগণ অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন জানান, আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য সমিতির কার্যালয়ে গেলে মুস্তফা মিয়া তার সঙ্গীদের নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার আত্মীয় স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে ২-৩টি ইজিবাইক ভাঙচুর করে। এতোগুলো ইজিবাইক ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি মুস্তফা মিয়াকে দায়ি করেন।
উপজেলার ইজিবাইক চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া বলেন, লাউড়েরগড় নিরীহ ইজিবাইক চালকদের একমাত্র ইনকামের সম্পাদ ত্রিশটি ইজিবাইক ভাঙচুরে পরিবারেগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন ইজিবাইক একেবারে নতুন, ঋন করে কিস্তিতে সাপ্তাহ-পনের দিন হয় কিনেছে। এসব ইজিবাইক ভেঙ্গে পরিবারগুগোকে নিশ্ব করে দিয়েছে। এহেন ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী বিল্লাল মিয়া সহ তার সঙ্গীদের শাস্তির দবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমি সরজমিন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।