নিজস্ব প্রতিনিধি::
সিলেটে অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজনের ওপর হামলার ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদের এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, সিলেট ইনঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিছবাউল করিম রফিকসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী স্বয়ং অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।
আজ রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ভূঁইয়া মামলার অভিযোগ পত্রটিকে এজাহার হিসাবে গণ্য করে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি নথিভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলার বাদী অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন নিজে।
তিনি জানান, আসামীরা সিলেটে চিনি চোরাকারবারের সাথে জড়িত। তারা ছাত্র নয় এমন লোকজনকে দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। তাই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। হামলার সময় তারা গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দাড়িয়াপাড়া এলাকায় প্রবাল চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পূজন পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হন।
এদিকে, হামলার এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার (১১ আগস্ট) তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ দপ্তর সম্পাদক সানি মোহাম্মদ আকাশ।
তিনি জানিয়েছেন, হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা ৪। তাদের দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা নিশ্চিত হতে পারলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদত, সহ সভপতি বরিকুল ইসলাম বাধন, সহ সভাপতি মাইনুল হাওলাদা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ বনি।