ইসলামি জীবন যাপন:
হজরত আবু বকর রা. প্রথম যুগের ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, অন্যান্য সবার ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তাদের মনে কিছু মাত্রায় দ্বিধা ছিল; কিন্তু আবু বকর রা. বিনা দ্বিধায় ইসলাম গ্রহণ করেন।
আবু বকর রা.-এর ইসলাম গ্রহণ অনেককে ইসলাম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইসলাম গ্রহণে উৎসাহ জোগান। তার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
আবু বকর রা. দাসদের প্রতি সদয় হয়ে অনেককে কিনে নিয়ে মুক্ত করে দেন। আবু বকর রা.-এর মুক্ত করা দাসরা অধিকাংশ নারী, বৃদ্ধ বা দুর্বল ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি মোট সাতজন সাহাবিকে গোলাম থেকে আজাদ করে মুক্ত জীবনের স্বাদ নিতে সহায়তা করেন। এই সাহাবিদের মধ্যে অন্যতম হলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুয়াজ্জিন হজরত বিলাল রা.। তাকে মদিনায় হিজরতের আগে মুক্ত করেন আবু বকর রা.।
আবু বকর রা. আমির ইবনে ফুহায়রা রা.-কে আজাদ করেন। তিনি বদর ও উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বীরে মাউনার যুদ্ধে শহীদ হন।
উম্মে উবায়স ও যিন্নী নামের দুই নারী সাহাবিকে তিনি আজাদ করেন। যিন্নীরা রা. আজাদ হওয়ার পর তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। তা দেখে কুরাইশরা বললো- লাত ও উযযার (কাফেরদের পূজনীয় দুই মূর্তি) অভিশাপে সে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। তাদের কথা শুনে যিন্নীরা রা. বললেন, ওরা মিথ্যা বলছে, আল্লাহর ঘরের কসম! লাত ও উযযা কোনো ক্ষতি করতে পারে না এবং কোনো উপকারও করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষনাৎ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন।
আবু বকর রা. নাহদিয়া নামের এক নারী সাহাবি ও তার মেয়ে আজাদ করেছিলেন। তারা দুজনে আব দুনদার গোত্রের একজন মহিলার দাসী ছিলেন।
মুয়াম্মাল গোত্রের এক দাসীকে ইসলাম গ্রহণের কারণে অনেক নির্যাতন করা হয়েছিল। আবু বকর রা. এই দাসীকেও আজাদ করে মুক্ত করেছিলেন।