প্রেস বিজ্ঞপ্তি:::
১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সময়ের বিচিন্তা পত্রিকায়”সিলেট যুব মহিলা লীগের নেত্রী লাকীর ব্ল্যাক মেইলে অতিষ্ঠ মানুষ” শিরোনামে এবং ৩-৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকায় “বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথিত লাইভার লাকী মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি লাকীর দৃষ্টিগোচর হলে ভিন্নমত পোষন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক লাকি আক্তার।
দুটি পত্রিকা মিথ্যা তথ্যে প্রতিবেদকের নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মনগড়া বক্তব্যে মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানী করে সম্মান হানি করছে। নিন্মে সংবাদের কিছু ভূল পাঠকের উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো?
১। আমি কারো বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলা করিনি,আমি সত্য ন্যায় বিচারের আশায় মামলা করেছি।
২। আমি সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে ৪-৫ মাস নয়,দীর্ঘ ১৮ মাস একটানা চাকরি করেছি, আমাকে কোন বেতন ভাতা দেওয়া হয় নাই বরং কোন কারণ ছাড়াই বিনা নোটিশে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট অপবাদ সাজিয়ে ২৬/৮/২৩ ইং,তারিখে আমার একক ছবি দিয়ে তাদের বৈচিএ্যময় সিলেট থেকে বহিষ্কার করে। যাহা সাংবাদিক আইনের নিয়ম নীতির মধ্যে পড়ে না,
৩। আমাকে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ১টি আইডি কার্ড ও একটি বোম দেওয়া হয় ২০২২ সালের এর ১লা জানুয়ারি, কিন্তু তাদের অসৎ উদ্দেশ্যর কারণে আমাকে ওই পত্রিকার নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় নাই, এবং লোক দেখানোর জন্য সিলেট রংমহল টাওয়ার এর ২০৮ নং অফিসে দ্বিতীয় তলায় এক লাইভ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আইডি কার্ড ও বোমটি আমার হাতে তুলে দেয়, পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন অন্যজনের অফিসকে নিজের পত্রিকা অফিস বলে দাবী করে। অন্যজনের নামে ডিড করা অফিসটি,তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।
৪। আমাকে কোন স্টেন্ড দেওয়া হয় নাই এবং আমি যখন অব্যাহতি পত্র দেই তখন অব্যহতি পত্রে লিখে দিয়েছি তাদের দেওয়া বোমটি নষ্ট হয়ে গেছে, ও আইডি কার্ডটি ফেরত দিয়েছি, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পত্রিকার মামলাবাজ সম্পাদক আইডি কার্ড ফেরত পেয়েও বোম নষ্ট হওয়ার কথা জেনেও এবং স্ট্যান্ড না দিয়ে প্রতারণা মূলকভাবে সিলেট এডিএম আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।মামলা নম্বর ৪০/২৩,
৫। ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি দুপুরে কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি টিম আমার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কোন কিছু পায়নি। যখন তারা আমার বাসায় গিয়ে আমাকে ফোন দেয়, তখন আমি বলি আপনারা তল্লাশি করে দেখেন আমি ডিসি অফিসে মিটিং এ আছি। ডিসি অফিসে মিটিংয়ের ছবিগুলো আমার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেছি ঐ তারিখে। আমার আইডি দেখলেই সত্যতা বের হবে, আমি সত্য বলছি
মামলা বাজদের মতো মিথ্যাবাদী নই।
৬। আমার স্বামী নুরুদ্দীন রাসেলের সাথে কাবিন নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব হলে, আমি বিষয়টি আবুল কাশেম রুমনকে জানালে, সে সুযোগ সন্ধানী হয়ে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়, যাহা আমি মানতে পারিনি। আমি তাহার প্রস্তাব না মানায় ঐদিন রাত অনুমান ১২:৫৫ ঘটিকার সময় আমার হোয়াটসঅ্যাপে খারাপ গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। তখন আমি ওই রাতে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সহ-সম্পাদক আয়কর আইনজীবী জহিরুল হক রিপনকে অবগত করি। পরে ২৪/৮/২৩ইং সকালে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি, যাহার নং- ২৭৪০/২৩.
৭। এই সাধারণ ডায়েরীর কপিটি আমার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে, মামলাবাজ আবুল কাশেম রুমন ৩০/৮/২৩ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে, যাহার নাম্বার, ১৬৬/২৩, পিবিআইতে তদন্ত চলছে।
৮। আমি কোন কলোনীতে থাকি না, আমি ৩৩ বছর যাবৎ মুন্সি পাড়া এলাকায় আছি, আমার বিয়ের পর আমার স্বামী আমাকে নিয়ে কাজলশাহ এলাকায় বসবাস করতেন,সেখানেই আমার ১ মাত্র সন্তানের জন্ম।
৯। মামলাবাজ রুমন এর সাথে ঘটনার দিন আমার কোন দেখা হয়নি অথচ একইদিন ২৯/৮/২৩ ইং তারিখে হয়রানী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে, মিথ্যা ডায়রী করে, যাহার সাধারণ ডায়েরী নং১৫৪৬/২৩ শুধু তাইনা মামলাবাজ সম্পাদক তার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নদীমুল্লাহ কামালকে দিয়ে আমার নামে আরেটি মিথ্যা জিডি করায়, সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায়, যাহার নং ৫৮৬/২৩ইং।
১০। কামাল তার অফিসে আমাকে ডেকে নেয় সহপাঠী হিসেবে, সেও মামলাবাজ রুমন এর পত্রিকায় কাজ করে।সেখানে নেওয়ার পর শালীনতার মধ্যে কতা বার্তা হয়। সেখানে সত্য বলায়, মামলা বাজ রুমন রাসেল এর কুচক্রে পড়ে, রুমন বাদী হয়ে নির্বাহী আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা করে, মামলা নং ৩০১/২৩ইং।
এই মামলায় ওয়ারেন্ট হয়ে, ১ রাতের জন্য আমাকে হাজত বাস করতে হলো। আমাকে কোন সমন পাঠানো হয়নি, আমি জানতাম ও না, এর খেসারত হিসেবে আমাকে আমার দল ভূল বুঝে সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করে। আমার মহানগর এর ১ নেত্রী রাসেল রুমনের কাছের মানুষ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলাবাজ রুমন, রাসেল আমার দলের এক নেত্রীকে গ্রাস করে ফেলেছে। তবুও আমি আশাবাদী সত্যর জয় একদিন হবে।
১১। আমি টিম লিডার না, আমি সোসিও ইকোনমিক এন্ড নিউট্রিশন ফেসিলিটেটর (SENF)পদে দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ এই প্রজেক্ট গুলোতে সুনামের সহিত
কাজ করে আসছিলাম।
কিন্তু মামলাবাজ রুমন এর কুচক্রে পড়ে আমার স্বামী নুরুদ্দীন রাসেল, আমার অফিসে মিথ্যা অভিযোগ করে। এরপর জেলা প্রশাসক বরাবর, মিথ্যা তথ্য ও বানোয়াট কথা বলে লিখিত দেয়।বিষয়টি আমার অফিস কর্মকর্তা আমাকে জানালে, এ বিষয়ে আমি নিজেই ২০/৯/২৩ ইং তারিখে অব্যাহতিপত্র দিয়ে আসি, আমাকে বরখাস্ত করা হয়নি।
১২। এতেও কান্ত হয়নি মামলাবাজ রুমন, লাইভার নুরুদ্দীন রাসেল, বরং আমাকে পুলিশের সোর্স, র্যাবের সোর্স, বানিয়ে আমার একক ছবি দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল, যেমন Channel 3 live, channel 360,
Sylhet 24Express, এসব অনলাইন পোর্টাল এবখ আরো বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল গুলোতেও এই মিথ্যা সংবাদ চাপিয়েছে। তখন আমি বাদী হয়ে রুমন-রাসেলের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করি, মামলা নং ১৯৮/২৩ইং।
১৩। সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও থানার জিডি তুলে নিতে আমাকে একা পেয়ে, সিলেট আদালত প্রাঙ্গনে হুমকি দেয় রাসেল,রুমন ও কামাল।পরে ১১/১০/২৩ ইং তারিখে সিলেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমি আরো ১টি মামলা দায়ের করি, মামলা নং ২৯৮/২৩। এই মামলার শুনানি শেষে আদালত মামলাবাজদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
১৪। ১৮/১১/২৩ইং আমাকে নুরুদ্দীন রাসেল বিয়ের প্রলোভনে, আমাকে নিয়ে সংসার করে দেড় বছর, কাবিন করবে বলে ধোকা দিলে, তার বান্ধবীর বাসায় ডেকে নিয়ে আবার আমার মতের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষন করে, তখন আমি আরেকটি মামলা করি, মামলা নং ৭৬১/২৩ইং। যা তদন্তাধীন রয়েছে,
আমার এসব সত্য মামলার কপি, ডকুমেন্টস নিয়ে বিভিন্ন অনলাই ও প্রিন্ট পাত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে, মামলাবাজ রাসেল বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবারও মিথ্যা মামলা করে, ১৬ জন সম্মানীয় সম্পাদক এর নামে, মামলা নং ২১৫/২৩ইং।
সত্য জনসম্মুখে তুলে ধরলেই, মামলাবাজদের কবলে পড়তে হয়,মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা মামলাবাজদের ধর্ম।
১৫। তারপরে ১০/০২/২৪ইং তারিখে আমার বিএ পরীক্ষা, Open Univercity, দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজে যাই, সকাল ৮ টায় মামলাবাজ রাসেল তার দল নিয়ে আমাকে কেটে ফেলার হুমকি দেয় ৭২ ঘন্টা সময় দেয় সব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য, পরীক্ষা শেষে আমি দক্ষিণ সুরমা থানায় জিডি করি, জিডি নং ৫১২/২৪,
১৬। ২৯৮/২৩ইং মামলা ওয়ারেন্ট বের হওয়ার পর, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল সত্য সংবাদ প্রকাশ করায়, মামলাবাজ রাসেল বাদী হয়ে আবারও সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৫০কোটি টাকার মানহানি মামলা করপ, ২১ জন সাংবাদিক ও সম্মানীয় লোকের উপর, মানলা নং ৬৯/২৪ইং।
১৭। আমার মা ও নানুর বিয়ের সংখ্যা নিয়ে বানোয়াট, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে যার কোন দালিলিক প্রমাণ নাই।
১৮। আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি আমি নিজে, সে জুয়ারী ও মাদকাসক্ত ছিলো।
এসব ডকুমেন্টস সময় হলে দেখাবো,
১৯। সাপ্তাহিক বিচিন্তা নামক ম্যাগাজিনে উল্লেখ করেছে, ঢাকার সিনিয়র একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাজাহানের সাথে বিয়ের সম্পর্ক, এটা মিথ্যা এগুলো মামলাবাজদের কল্পকাহিনী, কারণ এই নামের কোন কর্মকর্তা নেই, তার অধিনে আমি কাজ ও করিনি, এসব মামলাবাজদের চক্রান্ত। বিয়ে এবং টাকা নেওয়ারতো প্রশ্নই উঠেনা।
২০। সৌদি আরবের কবির, এমন কাউকেই চিনি না জানিনা, আমি ইমু চালাইনা, রাসেল জানে তারপর ও মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়েছে। যাকে চিনিনা তার সাথে বিয়ে কি আর টাকা নেওয়ারতো কথাইনা।
২১। বিএনপির কোন নেতার সাথে সখ্যতা নেই। সাহবের বাজারের জৈনিক ব্যাক্তির পরিচয় না দিয়ে ৫ শতক জমি ও ব্লাংক চেক দেওয়ার কথা সংবাদে বলা হয়েছে। অতচ আমার নামে কোন জমিই নাই।
মামলাবাজ রুমন-রাসেল চক্রের মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক কাহিনী, সমাজে আমাকে বাদ বানানোর এক গভীর সুদুর প্রসারি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বঠে। আমি মামলাবাজদের এসব সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।