বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও বৈষম্য দূর করতে নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হবে।
ন্যায্য মজুরি, শ্রমঘণ্টা ১২ থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা, স্বাস্থ্যকর কর্ম-পরিবেশ ও ভোটাধিকারের দাবিতে ১৯০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে রাজপথে নামেন ১৫ হাজার নারী। ধরপাকড়ের শিকারও হন অনেকে। পরের বছরই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সোস্যালিস্ট পার্টি অব আমেরিকা।
তবে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেতা ক্লারা জেটকিন। আর এ নিয়ে চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসে ১৯৭৫ সালে। এরপর থেকেই জাতিসংঘের আহ্বানে নারীর সমঅধিকার আদায়ের অঙ্গীকারে সারা বিশ্বে পালন করা হয় দিনটি।
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমঅধিকার,সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ।’
নারী দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি এবং উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের নারীসমাজ এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, গৃহকর্মে নারীর শ্রম ও অবদানকে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে তিনি বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।