বিশেষ প্রতিনিধি:
চায়ের রাজ্য খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোর পর্যন্ত হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যায়। সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে জেলা আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে এসে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাবাসীকে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।
শহরতলীর মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া বলেন, শীত কমে গেছে ভেবে গত মাসেই আমরা শীতের কাপড়-চোপড়, কম্বল, লেপ সব রোদে শুকিয়ে ওয়ারড্রবে গুছিয়ে রাখি। কিন্তু হঠাৎ মাঘ মাসের শীত আসবে কে জানে। তাই রাতটি শীতের কষ্টে কাটিয়েছি।
নৈশপ্রহরীর বাবুল মিয়া জানান, আমি হাত লম্বা একটি শার্ট পড়ে পাহারা দিতে এসে শীতে কাবু হয়ে গিয়েছি। কারণ শীতের জ্যাকেট বাসায় রেখে দিয়েছিলাম, আর বের করিনি। মার্চ কিংবা ফাল্গুনেও যে শীতের প্রকোপ বাড়ে এটা কখনও শুনিনি, অনেক কষ্ট সহ্য করে ডিউটি করলাম।
কালিঘাট-রামনগর রোডের টমটম চালক আতাউর রজমান বলেন, বাসা থেকে শুধু টি শার্ট পড়ে গাড়ি নিয়ে বের হই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত বাড়ায় বিপাকে পড়ি। তাই রাত ১১টার আগেই গাড়ি বন্ধ করে বসায় চলে আসি।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিবলু চন্দ্র দাশ জানান, গত এক সপ্তাহে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করে। বুধবার শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে গরমের মৌসুমে হঠাৎ শীত বাড়ায় উপজেলায় বেড়েছে ঠাণ্ড, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।