বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মহাসিং নদীর পাড়ে দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধে দ্বিতীয় বারের মতো ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধটি প্রথম দফায় ধসে গেলে পিআইসি কমিটির লোকজন ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা মতো জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকাতে কাজ শুরু করেন। গতকাল বাঁধের কাজটি শেষে পর্যায়ে এসেও ভোর থেকে আবারো বাঁধের গোড়ায় ধস দেখা দেয়।
জানা যায়, দেখার হাওড়ের ছাইয়া কিত্তার বাঁধ ৬নং পিআইসি কমিটির অধীনে। এর অধীনে প্রায় ১ হাজার মিটার বাঁধের নির্মাণকাজ করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকার ‘ছাইয়া কিত্তা’ নামক জায়গায় দু’বছর আগে বর্ষা মৌসুমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে বালি মাটি ও ভিট বালি উত্তোলন করে।
এতে বাঁধের দু’পাশে প্রায় ২৭ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে এই বাঁধে প্রতি বছর এই জায়গায় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। সরজমিন দেখা যায়, বাঁধের কাজটি শেষে পর্যায়ে এসেও দু’পাশে ফাটল ও গোড়ায় ধস দেখা দিয়েছে। এখানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে ঘাস লাগানোর কাজ চলছে।
কিন্তু ভাঙন শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ এবং আর্থিক সংকটে পড়ছেন পিআইসি কমিটির লোকজন। পিআইসি কমিটির সভাপতি আজিমুল হক জানান, আমার প্রকল্পে এ নিয়ে দু’বার ফাটল দেখা দিয়ে বাঁধের মাটি ধসে পড়েছে।
এর আগে ৩শ’ জিও ব্যাগ ব্যবহার করে বাঁধের এই অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন অনুযায়ী মেরামত করেছি। ভাঙন রোধে আরও অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দু’টি গর্ত মাটি ভরাট করা প্রয়োজন।
না হলে বাঁধ রক্ষা করা যাবেন না। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইয়াছিন খান বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধের একপাশে মহাসিং নদীর গর্ত অন্য পাশে গভীর গর্ত থাকায় বার বার বাঁধটি ধসে যাচ্ছে। হাওর অংশের গর্তটি এখন অনেকটাই ভরাট হয়েছে। ভাঙনও বন্ধ হয়েছে।
এখন মহাসিং নদীর পাশের গর্তটিই বাঁধের জন্য হুমকি হিসেবেই আমরা দেখছি। এই জায়গায় আরও জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করে তার পর বাঁধের স্লোপের কাজ করতে হবে। আশা করি ২-৩ দিনের মধ্যেই এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো।