গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি::
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গোয়াসপুর এলাকায় ভেকু দিয়ে মাটি কাটা, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি চক্র। বালু ও মাটি এলাকার একমাত্র রাস্তা দিয়ে পরিবহনের ফলে মারাত্মক ঝুকির মধ্যে পড়েছে রাস্তাটি। এঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত দরখাস্ত প্রদান করা হয়৷ ২ মার্চ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- গোয়াসপুর এলাকার মৃত সুনু মিয়ার পুত্র মন্তর আলী, মসুদ আলী, একই এলাকার নিমার আলীর পুত্র ইসমাঈল আলী।
টানা মাটি নিয়ে যাওয়ার কারনে বেশ কয়েক জাগায় ধেবে গিয়েছে এলাকার সড়ক। বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বার বার বাধা নিষেধ করলেও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন পরিবহন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা মডেল থানার শরণাপন্ন হয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগকারী কামাল আহমদ জানান, গোয়াসপুর এলাকার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত সুনু মিয়ার পুত্র মসুদ মিয়া, মন্তর মিয়া ও ইসমাইল আলী মাটি ও বালু অবাদে করছেন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি। তিনি আরো জানান, গুরুস্থানের কথা বলে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছে তারা। এতে করে মারা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার একমাত্র সড়কটি। এ রাস্তা দিয়ে বাদেপাশা, নিয়াগুল, খাটাখালীপার, গোয়াসপুর, হাজির কোনা, বড় কান্দিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হলে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের মারাত্মক বিঘ্নতা ঘটবে। এ্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা প্রশাসনের তিনি অনুরোধ করেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মসুদ মিয়া জানান, মাটি কেটে এলাকার গুরুস্থানের একটি অংশ বরাট করা হচ্ছে। পুর্ব শত্রুতার জেরে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।