স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:
গ্রীষ্মকালের অন্যতম মজাদার ফল কাঁঠাল। কাঁচা কিংবা পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায় কাঁঠাল। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। বাংলাদেশের কম-বেশি সব জায়গায়তে ফলটি সহজলভ্য।
সাধারণত আমাদের দেশে বসন্ত ও গ্রীষ্মের প্রথমে কাঁচা এবং গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। এ ফলটি আকার যেমন বড়, তেমনি পুষ্টিগুনেও ভরপুর। গ্রীষ্মের রসালো ফল কাঁঠাল সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য খুব উপকারী।
• কাঁঠালে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আঁশ।
ভিটামিন সি হলো এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আবার কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, যা কিনা বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে তা থেকে রক্ষা করে। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
•কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
এই উপাদান হজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
• ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এটি কোষকে ক্ষয় থেকে রক্ষার পাশাপাশি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও রক্ষা করে।
আবার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
• পটাশিয়াম হলো আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য এক খনিজ, যা কাঁঠালে ভরপুর পরিমাণে আছে। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং ফলস্বরুপ উচ্চ রক্তচাপ কমে আসে। এতে করে হৃদরোগ, মস্তিষ্কর রক্তক্ষরণ ইত্যাদির ঝুঁকি কমে আসে।
• স্বল্প ক্যালরি সম্পন্ন কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। আঁশযুক্ত খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এ জাতীয় খাবার অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখে, ফলে ঘনঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে আসে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য কাঁঠাল খাওয়া বেশ উপকারী।
• কাঁঠালে থাকা আঁশ ও পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। অন্যদিকে পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।